Zero Shadow Day: আজ বেঙ্গালুরুতে পালিত হবে ‘জিরো শ্যাডো ডে’! জানেন কী এর বৈশিষ্ট্য?

Bengaluru: আজ দুপুরে বেঙ্গালুরুতে দেখা যাবে না নিজের ছায়া! কীভাবে 
zero_shadow_day
zero_shadow_day

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই ছায়া চুরি যাওয়ার দিন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবার তা দৃশ্যমান হচ্ছে। আহ্নিক ও বার্ষিক গতির অক্ষ এবং সূর্যের অবস্থান। দুয়ের জেরেই আজ, বেঙ্গালুরুতে ‘জিরো শ্যাডো ডে’ (Zero Shadow Day)। আজ, দুপুর ১২টা বেজে ২৪ মিনিটে বেঙ্গালুরুর রাস্তায় মানুষ নিজের ছায়া নিজে দেখতে পাবেন না, এমনই অভিমত বিজ্ঞানীদের। যদিও বাস্তবে এই ঘটনাটি মাত্র কয়েক সেকেন্ড বা তার কম সময় নেয়, তবে এর প্রভাব এক থেকে দেড় মিনিট স্থায়ী হতে পারে। 

ছায়াশূন্য দিবসের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

এই ছায়াশূন্য দিবসের (Zero Shadow Day) বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হল, ভৌগলিক অবস্থানের নিরিখে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন দিনে ঠিক দুপুরবেলা সূর্য একেবারে মাথার ওপর আসে কয়েক মুহূর্তের জন্য। এর ফলে কোনও বস্তু বা মানুষের ছায়া পড়লেও, তা দেখা যায় না। কারণ সূর্যের অবস্থানের নিরিখে মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির ছায়া উল্লম্ব ভাবে তাঁরই পায়ে নিচে হারিয়ে যায়। অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার (ASI) গণনা অনুসারে, কয়েক মিনিটের জন্য সূর্য কোনও কিছুর উপর ছায়া ফেলে না। এই ঘটনা একবার নয়, ক্রান্তীয় অঞ্চলে বছরে দু’বার ঘটে। এই সময়ে সূর্য মাথার ঠিক উপরে তার সর্বোচ্চ বিন্দুতে থাকে। কিন্তু তাতেও কোনও ছায়ার সৃষ্টি হয় না। এই ঘটনাটি বিষুবরেখার কাছে ঘটে। কর্কট ক্রান্তি রেখা এবং মকর ক্রান্তি রেখার মধ্যবর্তী অংশে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। বেঙ্গালুরুও এমনই একটি এলাকায় মধ্য়ে পড়ে। 

আরও পড়ুন: আদিত্য এল-১ পৌঁছল শ্রীহরিকোটা, সূর্য মিশনের প্রস্তুতি তুঙ্গে ইসরোর

কোথায় কোথায় জিরো শ্যাডো ডে

এই বিরল ঘটনা বেঙ্গালুরুতে গত ২৫ এপ্রিল ঘটেছিল। আজকের পর আবার আগামী বছর ২৫ এপ্রিল এই ঘটনা ফের ঘটতে পারে। শুক্রবার দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশে কিছু সময়ের জন্য ছায়া (Zero Shadow Day) পড়বে না। ম্যাঙ্গালোর, বান্টওয়াল, সাক্লেশপুর, হাসান, বিদাদি, বেঙ্গালুরু, দাসারহাল্লি, বাঙ্গারাপেট, কোলার, ভেলোর, আরকোট, আরাককোনাম, শ্রীপেরামবুদুর, তিরুভাল্লুর, আভাদি, চেন্নাই, ইত্যাদিতে শুক্রবার শূন্য ছায়া দিন হবে।  শূন্য ছায়া দিবসকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের গণনার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিজ্ঞানীরাও পৃথিবীর পরিধি পরিমাপের জন্য এই ঘটনাটি ব্যবহার করেন। আমাদের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২০০০ বছর আগেও এই ধরনের গণনা করতেন। এর মাধ্যমে আজ পৃথিবীর ব্যাস এবং পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতিও পরিমাপ করা হয়। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles