মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। এসসিও বৈঠকের (SCO summit) মঞ্চে দু’জনের দেখা হয়। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনের শুরুতেই যে গ্রুপ ফোটো তোলা হয়,তাতেও একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন দু'জনে। এই সমেমলনেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন জিনপিং। ২০২৩ সালের এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) আয়োজন করবে ভারত। সেখানে ভারতকে সবরকমের সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন জিনপিং।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর ভারত এবং চিনের সংঘাত শুরু হয়। তারপর এই প্রথম পাশাপাশি দেখা গেল মোদি এবং জিনপিংকে। বৃহস্পতিবার রাতে উজবেজকিস্তানের সমরখন্দে এসসিও-এর নৈশাহার এড়িয়ে গিয়েছিলেন দুই নেতাই। নৈশাহারের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মোদি বা জিনপিংকে কাউকে দেখা যায়নি। তবে শুক্রবার সকালে এসসিওভুক্ত অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে গ্রুপ ফোটোয় ছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতাই।
With SCO leaders at the Summit in Samarkand. pic.twitter.com/nBQxx8IVEe
— Narendra Modi (@narendramodi) September 16, 2022
সীমান্ত-সমস্যার আবহে সমরখন্দে এসসিও সামিটের পার্শ্ব বৈঠক হিসেবে মোদি-জিনপিং আলাদা করে কথা বলবেন কি না তা নিয়ে চর্চা চলছিল। এর মধ্যেই এসসিও-র বৈঠকেই ভারতকে আগাম শুভেচ্ছা জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট। আগামী বছর ভারতেই হবে এই বৈঠক। তার জন্য নয়াদিল্লিকে সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, চাপে পড়েই এমন মন্তব্য করেছেন শি জিনপিং। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সংঘর্ষ বিন্দু থেকে কোনও অবস্থাই যে ভারত পিছু হটবে না,এটা বুঝেই মাথা নোয়ালেন তিনি।
চলতি মাসে পূর্ব লাদাখের অন্যতম সংঘাতপূর্ণ এলাকা গোগরা-হটস্প্রিংয়ের প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে পিছু হটেছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। তাই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে গেলে এবার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে হবে তা ভালুই বুঝেছে বেজিং। তাই সৌহার্দ্যের বার্তা। তবে এখনই দুই রাষ্ট্রনেতার মুখোমুখি বৈঠক হচ্ছে না বলেই অনুমান কূটনীতিকদের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours