মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা প্রশাসনিক সভায় জেলাশাসককে ‘টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম’ বলে মন্তব্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী! এমন বেনজির আক্রমণের ও অসৌজন্যতার সাক্ষী থাকল রাজ্যবাসী। প্রকাশ্য সভায় একজন আইএএস অফিসার, পদস্থ আধিকারিকের উদ্দেশ্যে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরণের ভাষা ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী (chief minister) হওয়ার পর তিনদিনের জঙ্গলমহল সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পুরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক (Purulia administrative meet) ছিল। সেখানেই ঘটে যায় এই অনভিপ্রেত ঘটনা। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলায় ইটভাটা থেকে আদায় হওয়া রাজস্ব গায়েব হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন এক তৃণমূল নেতা। জানান, কয়েকজনের পকেটে ঢোকে সেই টাকা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে বলেন, ‘ডিএম, শুনতে পাচ্ছো? এগুলো তৃণমূল করেনি। করেছে প্রশাসনের নীচের তলার কর্মীরা। নিজেরাই টাকাটা খেয়ে নেয়। কী জেলা চালাচ্ছো তুমি? এতদিন জেলায় আছো। তোমার সম্পর্কে আমার ধারণাই বদলে গেল।’
এরপরই জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এত কিছু দিচ্ছি। তবু কয়েকজন কেন এত লোভি হয়ে গিয়েছে। আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম। তাদের আমি সব সময় শাসন করি।’ স্বাভাবিকভাবেই, মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এধরনের কথা আশা করেননি, ফলে বেশ জড়সড় হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে। কেন তিনি নীচু তলার কর্মীদের এ ধরনের আচরণ কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, সে প্রশ্নও এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকে শুনতে হয়েছে জেলাশাসককে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের নিন্দা করে রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একজন জেলা শাসক, অবশ্যই আইএএস। তাঁকে প্রকাশ্য সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার দলের হলে টেনে এক থাপ্পড় মারতাম। এই না হলে মুখ্যমন্ত্রী! মুখ্যসচিব বা মুখ্যপরামর্শদাতা কি অপেক্ষা করছেন দুই থাপ্পড়ের অপেক্ষায়? হায় রে আত্মমর্যাদা বোধ! গুন্ডারানিকে এত ভয়?’
+ There are no comments
Add yours