মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের। তবে উত্তরপ্রদেশে মন্দির নির্মাণের পর্ব চলছেই। খুব দ্রুতগতিতে কাজ এগোচ্ছে কৃষ্ণ জন্মভূমি বলে পরিচিত মথুরার চন্দ্রোদয় মন্দিরের নির্মাণের কাজ। এই মন্দির পৃথিবীর উচ্চতম মন্দির (Worlds Tallest Temple) হতে চলেছে। দেশ-বিদেশের প্রচুর ভক্ত সারা বছরব্যাপী মথুরায় পা রাখেন। তাঁদের বিশ্বাস ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পবিত্র মথুরা মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মথুরার (Mathura) পাশেই যমজ শহর বৃন্দাবন। সেখানেও অগণিত ভিড় করেন। শ্রী কৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র বলে পরিচিতি হল বৃন্দাবন।
ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন (Worlds Tallest Temple) করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়
বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, মন্দির নির্মাণের (Worlds Tallest Temple) পরেই মথুরার আকর্ষণ সারা বিশ্বের কাছে আরও বেড়ে যাবে। দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার সঙ্গেও এর তুলনা টানা হচ্ছে। মন্দির নির্মাণ হচ্ছে ইসকনের তত্ত্বাবধানে। জানা গিয়েছে, মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে। তৎকালীন দেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন। মথুরার (Mathura) এই মন্দিরে থাকছে মোট ১৬৬ তলা, পৃথিবীতে আর কোনও মন্দিরে এতগুলি তলা নেই। প্রসঙ্গত, চন্দ্রোদয় মন্দিরের উচ্চতা হতে চলেছে ৭০০ ফুট। পৃথিবীর এই উচ্চতম মন্দির দিল্লির কুতুব মিনারের চেয়ে তিনগুণ তিনগুণ বেশি উচ্চ হতে চলেছে। এমনকী, দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার থেকেও উঁচু হবে এই মন্দির।
ঝড়-ভূমিকম্পে থাকবে অক্ষত
পুরো মন্দিরটি তৈরি হচ্ছে একদম পিরামিডের ধাঁচে। মন্দিরের (Worlds Tallest Temple) সর্বোচ্চ তলার নাম দেওয়া হয়েছে ব্রজ মণ্ডল দর্শন। জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৭০০ কোটি টাকা। এই মন্দির রিখটার স্কেলের ৮ মাত্রা পর্যন্ত ভূকম্পন থেকেও নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম। সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে। আবার ১৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইলেও মন্দির অক্ষত থাকবে। মন্দিরটি ৭০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। মন্দির তৈরি হয়েছে ৫১১টি পিলারের মাধ্যমে। সম্পূর্ণ মন্দিরের ওজন পাঁচ লাখ টনেরও বেশি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours