মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসে (Congress) ফিরল রিসর্ট সংস্কৃতি! বিধায়করা যাতে দল ভেঙে বিজেপিতে (BJP) গিয়ে না ভিড়ে যান, তার জন্য তাঁদের বিভিন্ন হোটেলে ‘লুকিয়ে’ রেখেছিলেন রাজস্থান কংগ্রেস। প্রায় সেই একই ছবির রিমেক হতে চলেছে এবারও। সৌজন্যে রাজ্যসভা নির্বাচন (Rajya Sabha Polls)।
একের পর এক রাজ্যে ক্ষমতা হারাতে হারাতে প্রায় প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। দেশের মাত্র দুটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে সোনিয়া (Sonia) গান্ধীর দল। এই দুই রাজ্য হল রাজস্থান ও ছত্তিশগড়। ১০ জুন রাজ্যসভা নির্বাচন। দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে হবে এই নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ২২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। কংগ্রেস ১০।
আরও পড়ুন :রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা
এই প্রার্থীরাও যে গেরুয়া-কূলে গিয়ে তরী ভেড়াবেন না, তা কে বলতে পারে? গেরুয়া খাতায় নাম লেখাতে পারেন বিধায়করাও। অতএব, ‘বন্দি’ করো বিধায়কদের! কংগ্রেস সূত্রে খবর, হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়কদের ছত্তীশগড়ের রায়পুরের একটি হোটেলে রাখা হতে পারে। আর ছত্তীশগড়ের বিধায়কদের রাখা হতে পারে রাজস্থানের উদয়পুরের এক হোটেলে।
রাজ্যসভায় ক্রমেই শক্তিহীন হতে চলেছে কংগ্রেস। এমতাবস্থায় কংগ্রেসকে মাত দিতে তৈরি বিজেপি। হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে একটিও বাড়তি আসন ছাড়তে রাজি নন পদ্ম নেতৃত্ব। তাই এই চার রাজ্যের রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ‘ভোট’ জোগাড়ের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে।
দুশো আসনের রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮। বিজেপির ৭১। এই রাজ্যে রাজ্যসভার একটি আসন জিততে হলে কোনও প্রার্থীকে ৪১ জনের ‘ভোট’ পেতে হবে। সেই হিসেবে কংগ্রেসের দুই প্রার্থীর জেতার পরে বাড়তি ভোট থাকছে ২৬টি। আবার বিজেপির প্রথম প্রার্থীকে জেতানোর পরে হাতে থাকছে ৩০টি ভোট। বিজেপির এক নেতার কথায়, তৃতীয় প্রার্থীকে জেতাতে কংগ্রেসের প্রয়োজন ১৫টি ভোট। আর পদ্ম শিবিরের দ্বিতীয় প্রার্থীকে জেতাতে দরকার ১১টি ভোট। স্বভাবতই এগিয়ে বিজেপি।
আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?
হরিয়ানাতেও কংগ্রেসকে মাত দিতে সক্রিয় বিজেপি নেতৃত্ব। হরিয়ানা বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০। সেরাজ্যে ভোট হবে রাজ্যসভার দুটি আসনে। একজন প্রার্থীকে জেতাতে প্রয়োজন ৩১টি ভোট। সেখানে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যাও ৩১। এঁদের অনেকেই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের আশঙ্কা বিজেপি ভাঙিয়ে নিতে পারে ওই বিধায়কদের। তাই ঝুঁকি না নিয়ে দলীয় বিধায়কদের রায়পুর কিংবা রাজস্থানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাত শিবির।
দল বাঁচাতে আর উপায়ই বা কি!
+ There are no comments
Add yours