VIVO: ইডির কড়া নজরে ভিভো, কেন? 

ইডির অভিযানের পর বুধবার বেজিং আইন মেনে ভিভোর বিরুদ্ধে 'বৈষম্যহীন' তদন্ত চালানোর আশ্বাস দিয়েছে।
VIVO_ED
VIVO_ED

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ভিভো (VIVO) এবং বিভিন্ন চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ৪০ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে অভিযান চলে। আর্থিক তছরূপ বিরোধী আইনের আওতায় ভিভোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইডি।     

ইডির অভিযানের পর বুধবার বেজিং (China), আইন মেনে ভিভোর বিরুদ্ধে 'বৈষম্যহীন' তদন্ত চালানোর আশ্বাস দিয়েছে। অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে ভিভোর। ভারত ছেড়ে পালিয়েছেন ভিভোর অধিকর্তা ঝেনশেন ওউ এবং ঝ্যাং ঝাই।

আরও পড়ুন: ভিভোকাণ্ডে ইডি-র আতসকাচের তলায় দুই অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও এক কোম্পানি সেক্রেটারি

সারা দেশে ৪৮ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ভিভো ইন্ডিয়ার ৬৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট, ৪৬৫ কোটি টাকাসহ ১১৯ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইডির দাবি, ভিভো ইন্ডিয়া ভারতে ব্যবসার টার্নওভারের ৫০% অর্থাৎ ৬২,৪৭৬ কোটি টাকা চিনকে পাঠিয়েছে।   

কর এড়ানোর জন্য ভিভোসহ বেশ কিছু সংস্থা বিশাল ক্ষতি দেখিয়ে সরকারের সঙ্গে জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইডি। 

ইডি জানিয়েছে, তারা মঙ্গলবার ভিভো মোবাইলস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং তার ২৩টি সহযোগী সংস্থা, যেমন মেসার্স গ্র্যান্ড প্রসপেক্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড (GPICPL)- এর সঙ্গে সম্পর্কিত ৪৮টি স্থানে অনুসন্ধান চালিয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) অধীনে দু কিলোগ্রাম সোনার বার এবং নগদ ৭৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।   

ইডির মতে, ২০১৪ সালের ১ অগাস্ট,  হংকংয়ের কোম্পানি মাল্টি অ্যাকর্ড লিমিটেডের সহযোগী সংস্থা হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ভিভো মোবাইলস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। আরওসি দিল্লিতে হয়েছিল এই সংস্থার রেজিস্ট্রেশন। GPICPL, ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর  আরওসি সিমলা, সোলান, হিমাচল প্রদেশ, গান্ধীনগর, জম্মুতে রেজিস্ট্রেশন করেছিল।   

ইডির দাবি, নীতিন গর্গ নামে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সহায়তায়, ঝেংশেন ওউ, বিন লো এবং ঝাং জি নামে তিন ব্যক্তি GPICPL স্থাপন করেন। বিন লু ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল ভারত থেকে চলে গিয়েছেন। ঝেংশেন ওউ এবং ঝাং জি-ও ২০২১ সালে ভারত ছাড়েন।

ইডির দাবি, এই সংস্থাগুলি ভিভো ইন্ডিয়াতে বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তর করেছে। ব্যবসার ১,২৫,১৮৫ কোটি টাকা আয়ের মধ্যে, ৬২,৪৭৬ কোটি টাকা চিনে পাঠিয়ে দিয়েছে ভিভো ইন্ডিয়া। অর্থাৎ, প্রায় ৫০% টার্নওভারই চলে গিয়েছে প্রতিবেশী দেশে। মূলত ভারতকে কর দেওয়া থেকে বাঁচতেই এই ব্যবস্থা। এই সংস্থাগুলির বিশাল ক্ষতি দেখিয়ে কর ছাড় পাওয়ার জন্য এমনটা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে ইডি।   

কিছুদিন আগে শাওমির ৫,৫৫১.২৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডির তরফে জানানো হয়েছে,  ১৯৯৯ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের (FEMA) অধীনে শাওমির অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles