মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে ফিরে যেতেই অ্যাকশন মুডে চলে যায় পুলিশ। শুরু হয় গ্রাম জুড়ে ধরপাকড়। বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ চেষ্টা করলে মুহূর্তের মধ্যে ছবি বদলে যায়। আগুনে ঘি ঢালার মতো পুলিশের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়ে। পুলিশের গাড়ির সামনেই গাছের গুঁড়ি ফেলে মহিলারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হাতে গাছের ডাল নিয়ে পথে নামেন মহিলারা। পুলিশ ভ্যানে সামনেই রাস্তায় শুয়ে পড়েন এক বৃদ্ধ মহিলা। সব মিলিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা।
ঠিক কী ঘটেছে? (Sandeshkhali)
এতদিন শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। শুক্রবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ দুজন তৃণমূল নেতার ওপর জনরোষ গিয়ে পড়ে। অজিত মাইতি নামে এক তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আর তৈয়ব মোল্লার ভেড়ির আলাঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নতুন করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) অশান্ত হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার আসেন। বিক্ষোভ দমাতে গ্রামবাসীদের আইন হাতে তুলে নিলে গ্রেফতারি করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সন্দেশখালি থেকে ডিজি ফিরে যাবার পরেই কার্যত অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। এলাকা জুড়ে একের পর এক ধর পাকড় শুরু হয়। বেড়মজুড় গ্রামের সাঁকোর এক প্রান্তে পুলিশ বাহিনী। অন্যপ্রান্তে গ্রামবাসীরা জড়ো হন। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। এক মহিলা বলেন, আমার ছেলে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। ভ্যান চালিয়ে খুব কষ্ট করে সে পড়াশোনা করছে। পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে পুলিশ তাকে তুলে নিল। এটা পুলিশের কী আচরণ। এই পুলিশের গাড়ির সামনে মাটিতে শুয়ে এক গ্রামবাসী কাকুতি মিনতি করতে থাকেন। চ্যাংদোলা করে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীকে না ধরে গ্রামবাসীদের ধরতে ব্যস্ত পুলিশ!
সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দাদের বক্তব্য, ইডি-র ওপর হামলার পর থেকেই শাহজাহানের খোঁজ নেই। তাঁর অনুগামীরাও এলাকা ছাড়া। যারা এলাকায় এক সময় অত্যাচার করেছিল তাদের গ্রেফতার করার বিষয়ে পুলিশের কোন হেলদোল নেই। অত্যাচারীদের জন্যই সন্দেশখালির আজ এই চেহারা নিয়েছে। শাহজাহানকে না ধরে এখন গ্রামবাসীদের ধরতে ব্যস্ত পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours