মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: "বামাদাকে বলো"। খড়ার পৌরসভার (Paschim Medinipur) এবার নতুন প্রকল্প। পৌর নাগরিকদের পরিষেবা পেতে দিতে হবে কাটমানি। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালে খড়ার পৌরসভায় এরকমই পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে, শাসকদলের কোনও নেতা বা কাউন্সিলারকে জানিয়ে কিছু লাভ হবে না। কাটমানি এবং সন্ধ্যার পর বোতল সঙ্গে নিয়ে গেলেই একমাত্র সমস্যার সমাধান হবে। শাসকদল-ঘনিষ্ঠ বামাপদ মাইতির বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষ এই অভিযোগ তুলে পোস্টার লাগিয়েছেন। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও এই ঘটনাকে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল হিসেবেই দেখছেন এলাকার মানুষ। কারণ, বিতর্কিত বামাদা এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত এবং পৌরসভার চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ। চেয়ারম্যানই নাকি তাঁকে দিয়ে যাবতীয় কাজকর্ম করাচ্ছেন। মধুভাণ্ডের ভাগ না পেয়ে তৃণমূলের বিরোধীগোষ্ঠী পোস্টার লাগিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সেখানে নাম দেওয়া হয়েছে নাগরিকবৃন্দের।
পৌর প্রশাসনের বক্তব্য
খড়ার পৌরসভার (Paschim Medinipur) চেয়ারম্যান সন্ন্যাসী দোলই জানান, এই ধরনের নতুন কোনও প্রকল্প চালু হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। এলাকার তৃণমূলের মহিলা নেত্রী পুতুল বর্ধন অবশ্য স্বীকার করে নিচ্ছেন, এই পোস্টারের সত্যতা রয়েছে। তিনি সেই সঙ্গে আরও বলেন, পৌরসভার চেয়ারম্যান কোনও কাজ জানে না। তাই সমস্ত কাজের জন্য পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার বামাপদ মাইতির ওপর নির্ভর করতে হয়। কাটমানির বিষয়টি জানেন না বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, কাটমানির বিষয় নিয়ে জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি শাসকদল। পৌর পরিষেবা নিয়ে শাসকদলের কাটমানি নেওয়ার ঘটনায় খড়ার পৌর নাগরিকদের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভ যে অমূলক নয়, তা তাঁর কথা থেকেই স্পষ্ট।
বিরোধীদের অভিযোগ
সিপিআইএম নেতা ফাল্গুনী বীর দাবি করছেন, পোস্টারে লেখা সমস্ত ঘটনাই সত্য। কারণ খড়ার পৌরসভায় (Paschim Medinipur) গেলে বামাপদ মাইতি নামে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে না জানিয়ে কোনও কাজ হয় না। এলাকার মানুষের অভিযোগ, টাকার ভাগ নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ এবং তারই ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। খড়ার পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার বামাপদ মাইতি ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও তিনি জানিয়েছেন যে বদনাম করার জন্য এই পোস্টারিং করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours