মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর অক্টোবর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নামায় মনে করা হচ্ছিল, এবার খুব শীঘ্রই জাঁকিয়ে শীত পড়বে। কিন্তু ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ, তবে শীতের দেখা নেই। আবহাওয়া সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাধারণত ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কলকাতায় ঠান্ডা পড়লেও এবছর এখনও দেরি আছে শীত আসতে। তবে সপ্তাহের শেষের দিকে ফের নামতে পারে পারদ। শীতের আমেজ বজায় থাকবে।
কলকাতার আবহাওয়া
আপাতত স্বাভাবিকের তুলনায় উপরেই থাকবে কলকাতার পারদ। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি থেকে প্রায় এক ডিগ্রি বেড়ে ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকবে। আগের তুলনায় সামান্য বেড়ে তাপমাত্রা হবে ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৪১ থেকে ৯৮ শতাংশ। কলকাতায় মঙ্গলবার আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা এবং শিশির দেখা যায়। আগামী কয়েক দিন একই রকম থাকবে আবহাওয়া। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে জেলাগুলিতে অবশ্য খুব স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের তুলনায় একটু কম থাকবে তাপমাত্রা। ১৬ তারিখ বা তার পর থেকে ফের রাতের তাপমাত্রা কমবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আবার উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা আপাতত স্বাভাবিকের কাছাকাছি রয়েছে। আগামী কয়েকদিনে তার খুব বেশি পরিবর্তন হবে না বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সেখানেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: ফের পারদ পতন, রাজ্যে ফিরে এল শীতের আমেজ
শীত আসতে কেন দেরী?
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, মূলত উত্তুরে বাতাসের দাপট কমে যাওয়া ও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছিল তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে। বাংলায় তেমনভাবে কোনও প্রভাব পড়েনি ও বৃষ্টিও হয়নি। কিন্তু কমেছে শীতের দাপট। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকায় আগামী কয়েকদিন রাজ্যে শীতের আমেজ কমেছে। তবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে রাজ্যে শীতের আমেজ বাড়তে পারে।
ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি
ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসের প্রভাব কাটতে না কাটতেই আন্দামান সাগরে আরও এক ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। আগামী ২৪ ঘন্টায় এটি দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে শ্রীলঙ্কার দিকে যাবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
+ There are no comments
Add yours