মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের কোলাহল, নিরন্তর পরিবেশ দূষণের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে যাঁরা দু'দণ্ড কোলাহল-বর্জিত, দূষণমুক্ত, সবুজ গ্রাম্য পরিবেশে দুটো দিন অবকাশ বিনোদন করতে চান, তাঁদের কাছে অচিরেই অন্যতম প্রিয় স্পট হয়ে উঠতে পারে নদিয়া জেলার প্রায় একদম নতুন পর্যটন কেন্দ্র 'আসান নগর' (Nadia)। চারদিকে ঘন সবুজের সমারোহ, মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে এক ছোট্ট নদী। শুরুতে এই নদীর নাম কলিঙ্গ, শেষ অংশের নাম পলদা, আর যে অংশটি আসান নগরের মধ্য দিয়ে গেছে, সেই অংশটির নাম ঝোড়।
শতাব্দী প্রাচীন শিবমন্দির, আশ্চর্য্য বটগাছ, নীলকুঠির ভগ্নাবশেষ (Nadia)
এখানে এলে অবশ্যই দর্শন করে নিন প্রায় ৮ কিমি দূরের 'শিবনিবাস'। কথিত আছে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পুত্র শিবচন্দ্রের নাম থেকেই জায়গার নাম হয়েছে 'শিবনিবাস'। এখানে রয়েছে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের তৈরি দুটি মন্দির। একটি মন্দির রাম-সীতার, অপরটিতে রয়েছে বিশাল এক শিবলিঙ্গ। শতাধিক বছরের সুপ্রাচীন এই মন্দিরগুলি আজও বাংলার প্রাচীন শিল্পশৈলীর সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। আসান নগর (Nadia) থেকে প্রায় ১৩-১৪ কিমি দূরে পাগলাখালি। এখানেও নদীর তীরে রয়েছে এক শতাব্দী প্রাচীন শিবমন্দির। প্রত্যেক সোম ও বৃহস্পতিবার এখানে বসে লঙ্গরখানা। হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় তখন। প্রত্যেক বুধ ও রবিবার হাট বসে আসান নগরের চাঁদপুরে। এই গ্রাম্য হাটটিও দেখার মতো। আসান নগরের খুব কাছেই আছে এক আশ্চর্য্য বটগাছ। প্রায় তিন একর জায়গার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই শতাধিক বছরের প্রাচীন বটগাছটির কোনটা যে আসল গুঁড়ি, আর কোনটা যে গাছের ডাল থেকে নেমে আসা প্রাচীন ঝুড়ি, বোঝা দায়। প্রত্যেক শীতকালে এখানে রং-বেরঙের পাখিদের মেলা বসে। আশান নগরে এখনও রয়েছে কিছু নীলকর সাহেবদের নীলকুঠির ভগ্নাবশেষ।
কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন (Nadia)?
আসান নগর (Nadia) আসার জন্য শিয়ালদা থেকে ট্রেন ধরে আসতে হবে কৃষ্ণনগর অথবা শিয়ালদা-গেদে লোকাল ট্রেনে এসে নামতে হবে মাজদিয়া স্টেশনে। কৃষ্ণনগর থেকে আশান নগরের দূরত্ব প্রায় ১২ কিমি আর মাজদিয়া থেকে প্রায় ১০ কিমি। দুটি জায়গা থেকেই আসান নগর আসতে হবে অটো কিংবা গাড়িতে। এখানে থাকা-খাওয়ার জন্য আছে একটি মাত্র হোম স্টে, "প্রাকৃত হোম স্টে'। এখানে থাকা-খাওয়া ছাড়া আশপাশ ঘুরে দেখারও ব্যবস্থা আছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours