Recruitment Scam: কেন ওএমআর নষ্ট? বাড়তি নম্বর কীসের ভিত্তিতে? সুপ্রিম-প্রশ্নবাণের মুখে পর্ষদ

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গিয়েছিল ২৬৯ জন অযোগ্য প্রার্থীর
WEST-BENGAL-BOARD-OF-PRIMARY-EDUCATION-16626997044x3
WEST-BENGAL-BOARD-OF-PRIMARY-EDUCATION-16626997044x3

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের মোবাইলে আচমকা এসএমএস পাঠিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, সেটা ছিল ২০১৭ সালের মে মাস। টেট উত্তীর্ণ নন বলে তাঁরা কেউই চাকরির আবেদন করেন'নি, অথচ শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র নিয়ে বিকাশ ভবনে তাঁদেরকে দেখা করতে হবে, এমনটাই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরে আবার ওই বছরেই ডিসেম্বর মাস নাগাদ জেলা প্রাথমিক পর্ষদ থেকে প্রতিটি প্রার্থীকে ফোন করে জানানো হয়েছিল যাবতীয় নথি যাচাই করা হবে। অভিযোগ এরপরে কোনওরকম ইন্টারভিউ ছাড়াই ওই সমস্ত টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে যান (Recruitment Scam)। এই গোটা ঘটনায় এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্ন, ‘‘কেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ওই প্রার্থীদের এসএমএস পাঠিয়েছিল? কেনই বা তাদেরকে ফোন করা হল?’’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ টেট পরীক্ষার একটি প্রশ্নে ভুল ছিল বলে মামলা করা হয় এবং তার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষার্থীদের এক নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরবর্তীকালে। সুপ্রিম কোর্টের আরও প্রশ্ন, ‘‘সেই নম্বরের ভিত্তিতে টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন যাঁরা, সেই তালিকা তখনও তৈরি হয়নি তাহলে কেন বাছাই করা কয়েকজনকে নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হলো?’’ দেখা যাচ্ছে, ২৬৯ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল যারা বাড়তি এক নম্বর নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিতে জয়েন করেছিলেন, কিন্তু সেখানেও দেখা যাচ্ছে জালিয়াতি (Recruitment Scam)। কারণ টেট পরীক্ষা হয় মোট দেড়শো নম্বরের। যেখানে একজন সাধারণ ক্যাটাগরির প্রার্থীকে পেতে হয় ৯০ নম্বর। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ৬৮ বা ৭১ নম্বর পেয়েও জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ তাদের এক নম্বর করে বাড়ার ফলে যে নম্বর দাঁড়াচ্ছে, তা কখনোই যোগ্যতামানে পৌঁছাচ্ছে না। অপরদিকে দেখা যাচ্ছে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও একজন প্রার্থী ১৪১ নম্বর পেয়ে আগে চাকরি পাননি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অবশ্য তাদের এই দুর্নীতি কিছুটা হলেও স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয় এদিন। যেখানে তারা বলছে যে, ‘‘২৬৯ জনের মধ্যে ১৮ জনের চাকরি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং সেই  ১৮ জনের মধ্যে ৪ জন এমন আছেন, যাঁরা সত্যিই টেট উত্তীর্ণ নন।’’ এখানেই দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলেন, ‘‘একশোর বেশি নম্বর পেয়েও প্রথমে চাকরি না পাওয়ার উত্তরও জানা দরকার।’’

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চাকরি গিয়েছিল ২৬৯ জনের

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছিল। তাঁরাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং যুক্তি খাড়া করেছিলেন যে প্রশ্নে এক নম্বর বাড়তি পেয়ে তাঁরা চাকরিতে জয়েন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ এদিন আরও প্রশ্ন তোলেন যে, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষক পদে ৪২ হাজারের বেশি শূন্য পদ ছিল তা সত্ত্বেও সেখানে দুই হাজারের বেশি পদ খালি রেখে দেওয়া হল কেন?’’ অভিযোগ উঠছে, এই দুই হাজার পদ বিক্রির জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগকারীদের দাবি সমস্ত রকমের নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ লোপাট করতেই নথি গুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles