মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। চলতি মাসের শেষেই এটি আছড়ে পড়ার কথা। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তবে তার আগে আগামী দুই থেকে তিন দিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কয়েক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)।
শহরের তাপমাত্রা
বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া দফতর ( West Bengal Weather) জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে চলেছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৭ ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২.৫ ডিগ্রি বেশি। বুধবার যা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৪৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়নি। তবে রবিবার থেকে শহরে ফের হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে তিলোত্তমায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার (West Bengal Weather) পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন থেকে শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া মোটামুটি শুকনো থাকতে চলেছে। রবিবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর সোমবার সবকটি জেলায় হাল্কা বৃষ্টি এবং মঙ্গলবার সবকটি জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে তার আগে এই সপ্তাহেই পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হতে পারে। শনি ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এই চার জেলা হল পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমান।
আরও পড়ুন: যুবভারতীতে শেষ ম্যাচ, আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর
কবে আসছে বর্ষা
আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল বিশ্লেষণ করে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ১৯ মে রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু অর্থাৎ বর্ষা প্রবেশ করবে। চলতি বছর নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগে বর্ষার প্রবেশ ঘটবে দেশে।
ধেয়ে আসছে রিমাল
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, মে মাসেই বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ২৫ মে সন্ধের পর পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এর প্রভাব পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ কত থাকবে, ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কতটা, তা ঘিরে এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours