মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়েই চলছে তাপপ্রবাহ। হাওয়া অফিস (Weather Report) জানিয়েছে, এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া চলবে ১০ জুন অবধি। আগামী চার দিনে তাপপ্রবাহের কারণে রাজ্যের ১৪ টি জেলায় ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের তিন জেলা। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই বর্ষা ঢোকার কথা কেরলে। কিন্তু ৬দিন পেরিয়ে গেলেও বর্ষা আসেনি দক্ষিণের উপকূলে। মৌসম ভবন বলছে, বর্ষার অনুকূল অবস্থা তৈরির জন্য এখনও এক-দুদিন লেগে যেতে পারে।
বাংলাতেও দেরিতে বর্ষা?
বাংলায় বর্ষা ঢোকে ৭ জুন। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার যাত্রা শুরু হয় ১০ জুন থেকে, কলকাতায় ১২ জুন। এসবই হাওয়া অফিসের হিসাব। কিন্তু কেরলে দেরি হলে বাংলাতেও বর্ষা ঢুকতে দেরি হবে, এটাই স্বাভাবিক। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে কেরলে বর্ষা পৌঁছায় ৮ জুন। সেবার কলকাতায় বর্ষা ঢোকে ১৬ জুন, গোটা বাংলাতে বর্ষা ঢুকতে সময় লেগেছিল ২২ জুন। অর্থাৎ কেরলে বর্ষা পিছলে স্বাভাবিক নিয়মে বাংলাতেও তা পিছিয়ে যাবে। কারণ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু হিমালয়ে ধাক্কা খেয়ে ফিরে যখন পশ্চিমবঙ্গে আসে, তখনই বাংলায় বর্ষা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: নিয়োগ-পরীক্ষায় বাইরের সংস্থাকে দিয়ে মূল্যায়ন? বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
রাজস্থানকে টেক্কা দিল কলকাতা
অস্বস্তিকর আবহাওয়া এখনই যাচ্ছে না। তা ১০ জুন পর্যন্ত চলবে এবং প্রতিদিনই এক থেকে দুই ডিগ্রি করে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, গরমের নিরিখে রাজস্থানের মরু শহরকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে কলকাতা।
কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাসও (Weather Report) মিলেছে
মঙ্গলবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ৭ জুন বুধবার সকালের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে চলবে তাপপ্রবাহ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours