Vulture: আলিপুরদুয়ার গবেষণাগারে ডিম ফুটিয়ে হবে শকুনের ছানা, কেন জানেন?

গবেষণাগারে ডিম ফুটে হবে শকুনের ছানা, কোথায় জানেন?
Vulture
Vulture

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া শকুন (Vulture) প্রজনন কেন্দ্রে কৃত্রিম উপায়ে শকুনের ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরির উদ্যোগ নিল বন দফতর। যার পোশাকি নাম আর্টিফিশিয়াল ইনকিউবেশন। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই রাজাভাতখাওয়ায় এই আর্টিফিশিয়াল ইনকিউবেশন চালু করবে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

কৃত্রিম উপায়ে শকুনের (Vulture) ডিম ফোটানোর উদ্যোগ কেন নিল বন দফতর?

পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষায় শকুনের (Vulture) গুরুত্ব অপরিসীম। পচাগলা দেহ দেহাংশ খেয়ে পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কিন্তু,  গত কয়েক দশকে শকুনের সংখ্যা এতটাই কমে গিয়েছে প্রাণীটির অস্তিত্বই এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, গোটা পৃথিবী থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে শকুন। শকুনের বিলুপ্তির কারণে গোটা বিশ্বে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। আর সেই কারণেই পৃথিবীতে  শকুন বাঁচিয়ে রাখার নানান উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ২০০৬ সালে  বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চালু হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিলপ্ত প্রায় শকুন উদ্ধার করে এই প্রজনন কেন্দ্রে রেখে তাদের বংশ বৃদ্ধি করা শুরু হয়। খুশির খবর বর্তমানে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চার প্রজাতির মোট ১৫৪ টি শকুন রয়েছে। এই শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ টি শকুন খোলা আকাশে ছাড়া হয়েছে। স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগিয়ে সে সব শকুনকে ছেড়েছে বন দফতর।

কী বললেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা?

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, আমরা শকুনের (Vulture) সংখ্যা বৃদ্ধি দ্বিগুন হারে করার জন্য এই আর্টিফিশিয়াল ইনকিউবেশন চালু করতে যাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি এই পদ্ধতি রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন  কেন্দ্রে চালু করা হবে। তিনি তথ্য দিয়ে বলেন, একটি শকুন বছরে একটি মাত্র ডিম পারে। কিন্তু, ডিম পারার পরে সেই ডিম সেখান থেকে কোনওভাবে তুলে নিতে পারলে ওই  শকুনের ওই বছরেই আরও একটি ডিম পারার সম্ভাবনা থাকে। শকুনটি একটি ডিম নষ্ট হয়ে গিয়েছে ধরে নিয়ে আরেকটি ডিম পারতে পারে। ফলে, এক্ষেত্রে বছরে একটি শকুন দুটো ডিম পারতে পারে। একটি ডিম কৃত্রিম উপায়ে ফোটানোর ব্যবস্থা করতে পারলে একটি শকুন থেকে বছরে দুটো ডিম পেতে পারি। আর সেই দুটি ডিম থেকে দুটো শকুনের বাচ্চার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এই সম্ভাবনাকেই কাজে লাগাতে কৃত্রিম উপায়ে শকুনের ডিম ফোটানোর ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles