Iran Hijab-row: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে অনেকেই তাঁদের হিজাব খুলে ফেলেছেন। এমনকি, অনেক ইরানি মহিলা তাঁদের চুলও কেটে ফেলেছেন, আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন হিজাবে। 
20_09_2022-iran_hijab_amini_died_23083978
20_09_2022-iran_hijab_amini_died_23083978

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ, সঠিকভাবে হিজাব পরেননি। তাই নীতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনি (Mahsa Amini)। পুলিশের কাছে থাকার সময়ই তাঁর শরীর খারাপ হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ, ইরানের নীতি পুলিশের অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপরই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের ছবি। এ বিষয়ে ইরানের এক মহিলার পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। মাসি এলিনজাদ নামক সেই মহিলা ট্যুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মাশার রহস্যজনক মৃত্যুর প্রতিবাদে সে দেশের মহিলারা তাঁদের চুল কেটে দিচ্ছেন, কেউ আবার হিজাব পুড়িয়ে দিচ্ছেন। ভিডিওর নীচে তিনি লিখেছেন, ‘সাত বছর বয়স থেকে আমরা যদি আমাদের চুল ঢেকে না রাখি, তা হলে আমরা স্কুলে যেতে পারব না বা চাকরি পাব না। সরকারের এই লিঙ্গ বৈষম্যমূলক শাসনে আমরা বিরক্ত।'

মাশা ছিলেন পশ্চিম ইরানের কুর্দিস্তানের মেয়ে। ঘটনার পরে সেখানে প্রবল বিক্ষোভ হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের নানা ভিডিওয় দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা সরকার-বিরোধী স্লোগান দিয়েছে, পুলিশের গাড়িতে পাথর ছুড়েছে । আমিনির মৃত্যুর পরই প্রতিবাদে সরব হয়েছে নেটপাড়া। একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভাকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীরা তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে মহিলাদের স্বাধীনতা ও জীবনযাপন নিয়ে স্লোগান তুলছেন। প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে অনেকেই তাঁদের হিজাব খুলে ফেলেছেন। এমনকি, অনেক ইরানি মহিলা তাঁদের চুলও কেটে ফেলেছেন, আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন হিজাবে। 

বিক্ষোভ ঠেকাতে সক্রিয় রয়েছে ইরানের পুলিশও। অভিযোগ, ইতিমধ্যেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে পাঁচ জনের। কুর্দিস্তান অঞ্চলের সাকেজ শহরে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। গুলিতে মারা যান ২ জন। দিভানদারেহ শহরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে আরও ২ জনের প্রাণ যায়। আরেকজন মারা যান কুর্দিশ অঞ্চলের দেহগোলানে। ইতিমধ্যেই মাশা আমিনির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেইয়ের দূত। সরকার সবরকমের সহযোগিতা করবে বলে মাশার পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles