NJAC: এনজেএসি বাতিল করে শীর্ষ আদালত জনসাধারণের রায়কে উপেক্ষা করেছে, রাজ্যসভায় বললেন ধনখড়

এই শীতকালীন অধিবেশনেই প্রথমবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তিনি।
jagdeep
jagdeep

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন (NJAC) আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে মানুষের রায়কে উপেক্ষা করেছে শীর্ষ আদালত। রাজ্যসভা অধিবেশনের প্রথম দিন এমনটাই বললেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

চলতি বছর অগাস্টে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন জগদীপ ধনখড়। এই শীতকালীন অধিবেশনেই প্রথমবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তিনি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করার পরেই ধনখড় তাঁর প্রথম ভাষণে বলেন, "শীর্ষ আদালতের এনজেএসি (NJAC) আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত, সংসদীয় সার্বভৌমত্বের সঙ্গে গুরুতর আপস এবং জনগণের আদেশ উপেক্ষার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।" তিনি আরও বলেন, "গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে সংসদে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এটাই আশ্চর্যের।" 

আরও পড়ুন: ফের মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-মমতা, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকবেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও

তিনি বলেন, "রাজ্যসভা এবং লোকসভার একত্রিত হয়ে জনগণের আদেশ (NJAC) পালন করাই প্রধান দায়িত্ব। তারা এই সমস্যাটির সমাধান করতে বাধ্য এবং আমি নিশ্চিত যে দুই হাউজ তাই করবে।"

তিনি আরও বলেন, "জনগণের ভোটে নির্বাচিত আইনসভার সদস্যদের পাশ করা আইনকে (NJAC) দেশের শীর্ষ আদালত ‘অসাংবিধানিক’ বলছে, এমন নজির বিশ্বে আর নেই!" তাঁর প্রশ্ন, "সংসদে পাশের পরেও জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইনকে সুপ্রিম কোর্ট ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে। তখনই কেন প্রশ্ন তুলল না আইনসভা?"

 

আলোচনায় এনজেএসি 

উল্লেখ্য,  কলেজিয়াম পদ্ধতিতে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক চলছে বহু দিন ধরেই। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ শীর্ষস্থানীয় বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত ওই কলেজিয়ামই সম্ভাব্য বিচারপতিদের নাম সুপারিশ করে। তার পরে সেই নামগুলি বিবেচনা করে সরকার। কলেজিয়ামের পুনর্বিবেচনার জন্য সরকার নাম ফেরত পাঠাতে পারে। কিন্তু কলেজিয়াম (NJAC) সেই নামগুলি ফেরত পাঠালে সরকার তা মানতে বাধ্য। 

২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলির বিচারপতিদের নিয়োগে দীর্ঘ দুই দশকের কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে পাল্টে নতুন আইন এনেছিল। কলেজিয়ামের বিকল্প হিসাবে জাতীয় বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (NJAC) গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এই উদ্দেশে সংসদ ও ১৬টি রাজ্যের বিধানসভায় বিলও পাশ করানো হয়। ২০১৫ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এনজেএসি গড়ার ব্যবস্থাকে 'অসাংবিধানিক' ঘোষণা করে কলেজিয়াম প্রথাকেই বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু কলেজিয়াম (NJAC) পদ্ধতির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, কলেজিয়ামের মধ্যে যে নিয়োগ হচ্ছে, তাতে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। আর এরপরেই ফের এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।  

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।     

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles