মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করার সিদ্ধহস্ত ছিল জামতারা গ্যাং। রাজ্যজুড়ে নতুন করে শুরু হয়েছে আধার জালিয়াতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করছে প্রতারকরা। তমলুকে এক ব্যাঞ্চ ম্যানেজারের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ করেছে প্রতারকরা। একইসঙ্গে বহু মানুষের রাতারাতি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়া, ইসলামপুরের নাম সামনে আসে। চোপড়ার গ্রামে বসেই বড়সড় প্রতারণা চক্র চালাত প্রতারকরা। আগেই এই ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে, এই জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর চোপড়া থেকে আরও দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কী পেল পুলিশ? (Uttar Dinajpur)
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত তারা ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিল। ভিন রাজ্য থেকে ফিরেই ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোমের' চাকরি পেয়ে যায়। বাড়িতেই কম্পিউটার সেটআপ, ল্যাপটপ, সঙ্গে ব্রড ব্যান্ড কানেকশন। রাতারাতি জীবনযাত্রায় বদল। প্রতারণার ‘হাব’ উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম মুক্তিচিপা, নারায়ণপুরের অধিকাংশ যুবকদের মধ্যে গত কয়েক মাসে ব্যাপক বদল এসেছিল। তদন্তে উঠে এসেছে এই ব্যাঙ্কিং প্রতারণা চক্র সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা দেখে তাজ্জব পুলিশ কর্তারা। তবে, এই ধরনের জালিয়াতির পাঠ কে দিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এই চক্রের পিছনে আর কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ কী করছে?
ভিনরাজ্য থেকে ফিরে এসে বাড়িতে বসে কাজ করে রাতারাতি জীবনযাত্রা বদলে যাওয়ায় মুক্তিচিপা, নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দারাও কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে অন্য জেলার পুলিশও যোগাযোগ রাখছে। জেলার গোয়েন্দা বিভাগের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি সতর্ক নজর রাখতে বলা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে কারা হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন এবং কেন ব্যবহার করছেন, সে সব নিয়ে পুলিশকে আরও বেশি সতর্ক রাখার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours