মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন ইউরোপীয় জোট ন্যাটোতে যোগ দিলেই ইউক্রেন-রাশিয়া (Ukraine-Russia) সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (Third World War) আকার নেবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক আধিকারিক। গণভোটের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের (Ukraine) চারটি অঞ্চল দখল করেছে রাশিয়া (Russia)। কিছুদিন আগেই ইউক্রেনের ১৮% নিজেদের দখলে নেওয়া ঘোষণা করেছেন পুতিন। এরপর থেকেই তীব্রতা বেড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। ক্রাইমিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইউক্রেন। এর জেরে বেশ বিপাকে পড়েছে পুতিনের দেশ। এরপরেই রাশিয়ার এই হুশিয়ারি সামনে এল। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা তাস নিউজে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি আলেকজান্ডার ভেন্ডেডিক্টোভ (Alexander Venediktov) বলেছেন, "ইউক্রেন ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত হলে তার ফল হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।" এই ন্য়াটো সমস্যাকে কেন্দ্র করেই রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ গ্রহণ করা নিয়েই রাশিয়ার যাবতীয় রোষ ছিল।
আরও পড়ুন : ভারত-সহ ৩৫টি দেশ সেই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখে।
ভেন্ডেডিক্টোভ আরও বলেন, "কিয়েভ খুব ভাল করে জানে, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবেই। অবশ্য ওরা সেটাই চাইছে। সমস্যা তৈরি করে নিজেদের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। আমি মনে করি ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার পরিকল্পনার পরিণতি পশ্চিম বুঝতে পেরেছে। এই ধরনের পদক্ষেপ যে আত্মঘাতী তা ন্যাটোর সদস্যদের বোঝা উচিৎ।" ইউক্রেনের ন্যাটো সংযুক্তিকরণ নিয়ে বার বার তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন বারবার ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছেন। বিশেষ করে ইউক্রেন এবং জর্জিয়ার মতো প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের জন্য তার বেশি আপত্তি। কারণ রাশিয়া আজও এই দেশদুটিকে নিজের অংশ মনে করে।
গত মাসেই পুতিন পশ্চিমি দেশগুলির উদ্দেশ্যে বলেন, "প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত।" এর উত্তরে ন্যাটোর সাধারণ সচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, "পুতিন তাঁর সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন।"
নিঃসন্দেহে ইউক্রেন সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এভাবেই রাশিয়া বনাম পশ্চিমী দেশগুলির সংঘাত তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। এর আগেও ইউক্রেনে হামলা নিয়ে পুতিন বেশ কয়েকবার পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিতেও ছাড়েননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, "১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকট থেকেই শেষ পারমানবিক যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে বিশ্ব। সে কারণেই আগামী সপ্তাহে ‘স্টেডফাস্ট নুন’ নামে বার্ষিক পরমাণু প্রস্তুতি মহড়া চালাবে ন্যাটো।" প্রসঙ্গত, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তি। তারা বিশ্বের প্রায় ৯০% পারমাণবিক ওয়ারহেড নিয়ন্ত্রণ করে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours