JU Student Death: যাদবপুরের দ্বিতীয় জবাবেও সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি! ফের চাওয়া হবে ব্যাখ্যা

যাদবপুরের একের পর এক জবাবে সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি! কেন?
jadavpur_university_f
jadavpur_university_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: র‌্যাগিং (JU Student Death) নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ফের ব্যাখ্যা তলব করবে ইউজিসি। এই নিয়ে টানা তিনবার ব্যাখ্যা চাইবে তারা। এর আগে ইউজিসির বারোটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুও জানিয়েছিলেন যে ৩১ টি ফাইলে সেই জবাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই জবাবে সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি।

কী বলছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান?

কিন্তু সোমবার ইউজিসি চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফার জবাবেও সন্তুষ্ট নয় তারা এবং এ নিয়ে ফের চিঠি লিখতে চলেছে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তৃতীয় প্রশ্নমালা পাঠাতে চলেছে ইউজিসি। গত শুক্রবারে ১২টি প্রশ্নের জবাব তলব করেছিল ইউজিসি। সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ২৪ ঘণ্টা। জবাবের ৪৮ ঘণ্টা পরে ইউজিসি সাফ জানিয়ে দিল, তারা সন্তুষ্ট নয়। সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘র‌্যাগিং একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পড়ুয়াদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতেই হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে(JU Student Death)। এ ব্যাপারে ইউজিসির সমস্ত বিধি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। খুব শীঘ্রই আবার ইউজিসির চিঠি যাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। তাতে আরও ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তারও বিশদ জানতে চাওয়া হবে।’’ 

ডিন অফ স্টুডেন্টসকে তলব মানবাধিকার কমিশনের

অন্যদিকে যাদবপুরের ডিন রজত রায়কে সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ তলব করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন (JU Student Death)। জানা গিয়েছে, এ সংক্রান্ত নোটিশ ১৪ অগাস্ট রাজ্য সরকার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়েছিল মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, ‘‘বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ঘটনার আগে ডিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মৃত ছাত্রের সহ-আবাসিকরা। তারপরেও কিভাবে ওই ছাত্রের মৃত্যু ঘটলো?’’ শুধু তাই নয় কর্তৃপক্ষের কর্তব্যে গাফিলতির কথা লেখা হয়েছে নোটিশে। এও লেখা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট সত্যি হলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত (JU Student Death) হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই লালবাজারে তলব করা হয় ডিনকে। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ঘটনার রাত দশটা পাঁচ মিনিট নাগাদ এক ছাত্র তাকে ফোনে জানান হোস্টেলের এক ছাত্রকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। তিনি তখন সুপারকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন। জানা গিয়েছে, তারপরে সুপার আদৌ খোঁজ নিয়েছেন কিনা, সেই খবর নেননি ডিন। পরে রাত বারোটা নাগাদ সুপার ফোনে জানান, এক ছাত্র রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles