Junput: সেই তৃণমূলের ‘দাদাগিরি’, বন্ধ হয়ে গেল জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কাজও!

DRDO: জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কাজ বন্ধ, কেন জানেন?
Junput
Junput

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের দাদাগিরি। শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের বাধায় কার্যত কাজ বন্ধ হয়ে গেল পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুটে (Junput) ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূলের এই দাপাদাপিতে বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপি। সরব হয়েছেন স্থানীয় সাংসদ।

তৃণমূলের লোকজন গিয়ে বন্ধ করল কাজ (Junput)

বুধবার থেকে ডিআরডিও-র (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন)-র বিমান মহড়া হওয়ার কথা। সে জন্য প্রথম দফায় ১৯ জুলাই পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২৪-২৬ জুলাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে জুনপুটে (Junput) লঞ্চিং প্যাডের চারদিক টিন দিয়ে ঘেরা হচ্ছিল। কলকাতার এক ঠিকাদার সংস্থা কাজ করছিল। উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের দক্ষিণ দিকে ঘেরাটোপ হয়েও গিয়েছে। তার পরেই ঝামেলা। অভিযোগ, ১০ জুলাই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সম্পাদক আমিন সোহেলের নেতৃত্বে মৎস্যজীবীরা গিয়ে ঠিকাদার সংস্থাকে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। ঠিকাদারের লোকজন এলাকা ছাড়েন। তারপর থেকে সেখানে নজরদারি চালাচ্ছেন বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা। জেলা পুলিশের একটি সূত্র মানছে, ডিআরডিও লঞ্চিং প্যাডের কাছে কিছু কাজ করবে বলে প্রথমে জানালেও পরে জানিয়েছে, আপাতত কাজ বন্ধ। কারণ জানানো হয়নি। জুনপুট মৎস্যখটির সভাপতি শেখ নজু এবং সহকারি সম্পাদক জাহেদ আলির বলেন, মৎস্যজীবীরা ঠিকাদার সংস্থার লোকেদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে সমস্যা মেটেনি। তৃণমূল নেতা আমিন বলছেন, "অরাজনৈতিকভাবে কয়েকটি মৎস্যজীবী সংগঠন, পরিবেশপ্রেমী এবং বিজ্ঞান কর্মীরা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের সমস্যা তুলে ধরে আন্দোলন করছেন। কাজ বন্ধ করার অভিযোগ ঠিক নয়।"

আরও পড়ুন: পুলিশের নাকের ডগায় মাছের ভেড়িতে আত্মগোপনে সাদ্দাম, তিনদিন পর গ্রেফতার

বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

কাঁথির বিজেপি সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, "ডিআরডিও-র (DRDO) প্রকল্পের জন্য রাজ্য জমি দিয়েছে। তারপরেও কারা বাধা দিচ্ছে, তার তদন্ত হওয়া উচিত। ডিআরডিও দেশের সুরক্ষায় কাজ করে। এনআইএ তদন্ত চাইব।"

প্রশাসনের আধিকারিকরা কী বললেন?

সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুমনকুমার সাহাও বলেন, "ডিআরডিও নির্দেশিকা প্রত্যাহারের কথা জানায়নি। ৩ জুলাইয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১৭-১৯ এবং ২৪-২৬ জুলাই সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।"কাঁথি ১-এর বিডিও অমিতাভ বিশ্বাস বলেন, "ডিআরডিও-র (DRDO) তরফে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, সাময়িকভাবে তারা কাজ বন্ধ রাখছে।"

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles