মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা পরিষদের রাস্তায় টোল আদায় করছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। আর সেই টোল নেওয়ার প্রতিবাদেই সরব হয়েছেন গাড়িচালক ও মালিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) তিরোল পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)
আরামবাগের (Arambagh) তিরোল পঞ্চায়েত এলাকায় শিয়ালি থেকে বাইশ মাইল পর্যন্ত দীর্ঘ ৬-৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে হুগলি জেলা পরিষদ। কিন্তু, হঠাৎ করেই সেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল করার জন্য বসানো হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের টোল ট্যাক্স। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে বিভিন্ন যানবাহন। অভিযোগ, বালির ট্রাক্টর, ধানের গাড়ি সহ মাল বোঝাই গাড়ি থেকে নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা করে টোল ট্যাক্স। কিন্তু, এখানেই গাড়ি মালিক ও চালকদের আপত্তি। তাঁদের বক্তব্য, গাড়ির জন্য সরকারকে ট্যাক্স দেওয়ার পরেও আবার কেন ট্যাক্স দিতে হবে? তাছাড়াও জেলা পরিষদের রাস্তায় কেন পঞ্চায়েত তাদের ইচ্ছা মতো ট্যাক্স নেবে? সেই সব অভিযোগ তুলে তিরোল পঞ্চায়েতের মাদরা এলাকায় বেশ কয়েকবার এই টোল বসানোর পরে পঞ্চায়েতের ওই টোল কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যার জেরে ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখেন গাড়ির মালিকেরা। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত এই জোরজুলুম বন্ধ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত রাস্তা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। যদিও পরে খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পঞ্চায়েত প্রধান কী সাফাই দিলেন?
তিরোল পঞ্চায়েতের প্রধান বিলকিস বেগম বলেন, ওই রাস্তা জেলা পরিষদের হলেও রক্ষণাবেক্ষণ করে পঞ্চায়েত। তাই ওই রাস্তা মেরামতের জন্য সমস্ত নিয়ম মেনেই টোল নেওয়া হচ্ছে। কোনও বেআইনি কাজ করা হচ্ছে না।
বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, জেলা পরিষদের রাস্তায় উপর টোল বসানোর কোনও আইন নেই। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটা তোলা তোলার একটি কল। এটা কোনও পঞ্চায়েত টোল বসায়নি। এই টোল বসিয়েছেন পঞ্চায়েতের প্রধান। ব্যক্তিগতভাবে তোলা তোলার জন্য এসব করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours