মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় ব্যাঙ্কের কোটি টাকারও বেশি তছরুপের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘির খাড়ি এলাকায়। সমবায় ব্যাঙ্কের নাম 'ইউনিয়ন লার্জ সাইজ প্রাইমারি এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড'। ওই সমবায় ব্যাঙ্কটির কাছেই কাশীনগর ব্যাঙ্কের একটি শাখা রয়েছে। অভিযোগ, শাখার ইনচার্জ মোহনলাল হালদার আর্থিক তছরুপ করেছেন। অভিযুক্ত মোহনলাল আবার কাশীনগর পশ্চিমপাড়ার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। আর শাসক দলের নেতা বলেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ওই সমবায় ব্যাঙ্কে হাজার দু'য়েক গ্রাহক আছেন। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে অডিট রিপোর্টের পরেই তৃণমূল নেতা মোহনলালের বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির সঙ্গে স্থানীয় আরও কিছু তৃণমূল নেতা জড়িত বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে সরব হন আমানতকারী ও শেয়ার হোল্ডাররা। সমবায়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডল বিভাগীয় দফতরে অভিযোগ জানান। পরে পুলিশেরও দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি ধরা পড়ার পরে মোহনলাল ১০ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। বাকি টাকা ফেরাতে পারেননি। মোহনলাল হালদারের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।
ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?
মথুরাপুর-২ বিডিও নাজির হোসেন বলেন, মাস দেড়েক আগে ৩-৪ জন গ্রাহক ওই আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মতো জেলা থেকে তদন্তের পরে আর্থিক তছরুপ ধরা পড়েছে। এক কোটির বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। পুলিশ সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করছে।
তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘির তৃণমূলের বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, মোহনলাল এক সময় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। এখন দলের কোনও দায়িত্বে নেই। সমবায় ব্যাঙ্কে টাকা তছরুপ করা ঠিক হয়নি। সাধারণ মানুষের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। না হলে কঠোর শাস্তি পাওয়া দরকার। প্রশাসন কঠোর হাতে ব্যবস্থা নিক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours