মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শনিবার দুপুরে বিজেপির বর্ধমান জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সেখানেই রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি।
তৃণমূল সরকার ফেলে দেওয়া উচিত (Dilip Ghosh)
এদিন ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি করলে যেমন চাকরি যায়, তেমনি ভুয়ো আইন করে যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের সরকার ফেলে দেওয়া উচিত। কারণ, নৈতিকভাবে তারা সংবিধানকে ধোকা দিয়ে জিতে এসেছে। যারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে, সেই সরকারের আদৌ ক্ষমতায় থাকা উচিত কিনা বিবেচনা করা দরকার। আমার মতে, তৃণমূল সরকার ফেলে দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দেশ ভাগের চক্রান্ত করছেন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধৃষ্টতা দেখুন, তিনি (Dilip Ghosh) বলছেন, কোর্টের রায় মানবো না। প্যাঁচে পরে তিনি বারবার কোর্টে যাচ্ছেন। যখন সিঙ্গুরে জমির জন্য কোর্টে গিয়ে জিতে টাটাদের তাড়িয়েছিলেন, তখন কোর্ট ঠিক ছিল। আজকে যেহেতু তাঁর অপকর্মের বিরুদ্ধে কোর্ট রায় দিয়েছে তাই তিনি কোর্টকে মানবেন না। আমরা জানি তিনি সংবিধান মানেন না, লোকসভার সিদ্ধান্ত মানেন না, সুপ্রিম কোর্টকে মানেন না। সিএএ, জিএসটির বিরোধিতা করেছেন, তিন তালাকের বিরোধিতা করছেন। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা হটানো হয়েছে, তিনি তাঁর বিরোধিতা করছেন। এই যে মানসিকতা এটা বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতা। স্বাধীনতার আগে এরকম হয়েছিল বলে দেশ ভাগ হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দেশ ভাগের চক্রান্ত করছেন। দেশ বিরোধিতা, রাষ্ট্র বিরোধিতা যারা করছেন তিনি তাদের সঙ্গে আছেন। তিনি তাদের সুরে কথা বলছেন। তিনি পাকিস্তান, বাংলাদেশের উগ্রপন্থীদের সুরে কথা বলছেন, এটা খুব ভয়ংকর।
নন্দীগ্রামে হামলা নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ
অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়ায় শুক্রবার রাতে ৬ জন তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ওখানে গিয়ে হেরেছেন, তাই সেখানে জেতার সম্ভাবনা নেই। বড় আকারে লিড আমরা পাব। শুভেন্দু অধিকারী ওখানকার বিধায়ক তিনি লড়াই করছেন। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে সেরকম রক্ত ঝরেনি, খুন হয়নি। কিন্তু, শেষের দিকে আবার শুরু হয়ে গেল। যত ভোটের শেষের দিকে আসছে তত ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। আমরা মারপিটের রাজনীতি করি না। যদি করতাম তাহলে উত্তরবঙ্গে দেখিয়ে দিতাম। এই যে আমার বিরুদ্ধে কেস করেছে আমি কি মারতে গেছি? আমরা এইসব রাজনীতি করিনা। কারণ, মানুষ বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours