মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল, জমি, জঙ্গলের অধিকার ছাড়বো না। অবিলম্বে বীরভূমের দেউচা কয়লাখনির কাজ বন্ধ করতে হবে। মূলত এই দাবি নিয়েই রাজভবন অভিযান (Tribal Movement)। বুধবার রাতে বর্ধমান শহরে মিছিল করলেন আদিবাসী অধিকার মহাসভার সদস্যরা। রাজ্যপাল তাঁদের কথা না শুনলে রাষ্ট্রপতির কাছে, রাষ্ট্রপতি না শুনলে রাষ্ট্রসংঘের কাছে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। বীরভূমের দেউচা, পাচামির মথুরাপারি গ্রাম থেকে কয়েকশো আদিবাসী পুরুষ, মহিলা মিছিলে সামিল হন। সঙ্গে তির, ধনুক, লাঠি, বল্লম, টাঙ্গি। পায়ে হেঁটে সিউড়ি হয়ে বোলপুর। সেখান থেকে বর্ধমান। বুধবার রাতে মিছিল করে কার্জন গেটের সামনে তাঁরা প্রতিবাদ সভা করেন। তাঁদের দাবি, যে জায়গায় তাঁরা কয়েকশো বছর ধরে বসবাস করছেন, যেখানে তাঁদের ধর্মগুরু রয়েছেন, যেখানে তাঁদের পিতৃপুরুষদের সমাধি রয়েছে, যেখানাকার জঙ্গলে তাঁরা ছাড়তে নারাজ। সেই কারণেই রাজভবন চলোর ডাক।
কী বলছেন নেতৃত্ব?
সংগঠনের এক নেতা বলেন, গ্রাম থেকে ১০ এপ্রিল, সোমবার আমরা এই পথযাত্রা শুরু করেছি। ১০ তারিখ আমরা সিউড়িতে ছিলাম। এরপর কিছুটা পায়ে হেঁটে, কিছুটা বাসে ১১ তারিখ আমরা আসি বোলপুরে। রাতে বোলপুরে থেকে ১১ তারিখ আমরা চলে আসি বর্ধমানে। ওই কয়লাখনি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বীরভূম জেলার জেলাশাসককে গত এক বছরে একাধিকবার ডেপুটেশন দিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। শুধু তাই নয়, আন্দোলনকারীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের বক্তব্য, ওই জল-জমি-জঙ্গল আমরা ছাড়বো না। তাই অবিলম্বে কয়লাখনি বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হবে। যেভাবে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে, তা বাতিল করতে হবে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে কোনও কাজ না হওয়াতেই আমরা রাজ্যপালের কাছে দরবার (Tribal Movement) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রয়োজনে রাষ্ট্রসংঘে যাওয়ার হুঁশিয়ার
সংগঠনেরই আর এক সদস্য জানান, রাজ্য প্রশাসন এইভাবে আদিবাসীদের অধিকার হরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে, জমি দিতে না চাইলে ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা প্রশাসনের এই অত্যাচার মেনে নেব না। রাজ্যপাল যদি কিছু করতে না পারেন, আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। সেখানে কোনও কাজ না হলে আমরা রাষ্ট্রসংঘে যাব (Tribal Movement)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours