মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগর কাণ্ডে নতুন করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম নজরুল মণ্ডল, আকবর ঢালি এবং আমানুল্লাহ জমাদার। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িই দলুয়াখাকিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত তিন জনই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। তৃণমূল নেতা খুনের পর গন্ডগোলের ঘটনায় দলীয় কর্মীরা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
তৃণমূল নেতা খুনের পরই একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল
তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের মামলার পাশপাশি, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আলাদা মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই মামলাতেই রবিবার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৩ নভেম্বর জয়নগরের বামনগাছির পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে মসজিদ নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। মসজিদের সিঁড়িতে সবে পা রেখেছিলেন তিনি। এমন সময়ে তাঁর ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে এসেছিলেন। রক্তাক্ত দেহটি তুলে দৌড়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি সইফুদ্দিনকে। খুনের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দলুয়াখাকি গ্রাম। সইফুদ্দিনকে গুলি করে পালানোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় দু'জন ধরা পড়ে যান স্থানীয়দের হাতে। অভিযোগ, সাহাবুদ্দিন নামে তাঁদের একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। অন্য জন, শাহরুল শেখকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শাসক দলের নেতা খুনের পরই সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়
তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার পর পরই তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ২০-২৫ টি বাড়িতে ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। পরিবারের মহিলাদের মারধর করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, বেছে বেছে শুধুমাত্র সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আনিসুর লস্করকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও কামালউদ্দিন ঢালি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার জয়নগরের দলুয়াখাকিতে ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours