মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ জলপাইগুড়ির কাছে মঙ্গলবার আপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) পাথর ছোড়ার ঘটনায় (stone pelting case) গ্রেফতার (arrest) হল তিন নাবালক। তদন্ত শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিহারের (Bihar) কিষানগঞ্জ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ এবং রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এরপর তাদের কাটিহারের জুভেনাইল কোর্টে হাজির করা হয়।
মজার ছলেই পাথর নিক্ষেপ
আগেই পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে জানিয়েছিল, বাংলা নয়, বন্দে ভারতে পাথর ছোড়া হয়েছিল বিহার থেকে। চিহ্নিত করা হয় চার অভিযুক্তকেও। পরে রেলের কাটিহার শাখার তরফে জানা যায়, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার ঘটনায় প্রথমে ৪ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এক জন পালিয়ে গিয়েছে বলেই দাবি রেল সূত্রে। ধৃতেরা সকলেই কিষানগঞ্জের পোঠিয়া থানার নিমলা গ্রামের বাসিন্দা। বয়স চোদ্দর মধ্যে। ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনার পর আরপিএফের পক্ষ থেকে অমিতকুমার বর্মা পোঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রেকর্ড শীত কলকাতায়! মরশুমের শীতলতম দিনে কাঁপুনি ধরাল হাড়ে
পুলিশি জেরায় ধৃতরা যা দাবি করেছে, তা শুনে রীতিমতো তাজ্জব অফিসাররা। নাবালকরা বলেছে, নেহাতই মজা করার জন্য ট্রেনে পাথর ছুড়ে মেরেছিল তারা। এছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বন্দে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেছে। ট্রেনে পাথর ছুড়ে মজা করার ঘটনা নতুন নয়। আগেও বহুবার এরকম ঘটেছে। কিন্তু রেলের তরফে সচেতনতা প্রচার চালিয়ে এই ঘটনা কিছুটা হলেও কমানো হয়। ১ জানুয়ারি থেকে বাংলায় চালু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তু এরপরই সোমবার এবং মঙ্গলবার পরপর দু’দিন ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তদন্তে নেমে দেখা যায়, ট্রেনে পাথর ছোড়ার পুরনো অভ্যেস থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে। তবে প্রথম দিন মালদার কাছে কারা বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছিল তা এখনও সামনে আসেনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours