Bomb Blast: দত্তপুকুরে আরও তিনটি গোডাউনের হদিশ, মজুত প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক, বাজি

দত্তপুকুরে হানা দিয়ে কত বাজি উদ্ধার করল পুলিশ?
Bomb_Blast
Bomb_Blast

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলির আরও একটি গোডাউনের হদিশ মিলল। সেখানে বোমা তৈরির সরঞ্জাম থরে থরে সাজানো ছিল। মঙ্গলবার সকালেই পুলিশ সেই গোডাউনের হদিশ পায়। এছাড়়াও এদিন বিস্ফোরণস্থলের (Bomb Blast) পাশেই আরও দুটি গোডাউনের পুলিশ হদিশ পায়। গোডাউন দুটিতে সাটার দেওয়া ছিল। এদিন সাটার খুলতেই থরে থরে সাজানো বাজি উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে কত বাজি বাজেয়াপ্ত করল?

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের (Bomb Blast) দিন কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরও একটি বেআইনি কারখানার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। পাঁচিল ঘেরা পরিত্যক্ত জমিতেই বেআইনি বাজি কারখানা গজিয়ে উঠেছিল। সেখানে হানা দিয়ে উদ্ধার হয়েছিল শক্তিশালী বোমা তৈরির রাসায়নিক। রীতিমতো ল্যাবরেটরি তৈরি করে এই বেআইনি কারবার চলত। উত্তেজিত জনতা সেদিন সেই বেআইনি কারখানা ভাঙচুর করে দেয়। কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট গাড়ি ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেয়। ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যুর পর টনক নড়েছে পুলিশের। সোমবার রাতে দত্তপুকুরের মোচপোল, কাঠুরিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১২ হাজার ৯৪০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাতেই ৫-৬টি গাড়ি করে উদ্ধার হওয়া বাজি নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলির আরও একটি গোডাউনের হদিশ মিলল।

কেরমাতের গোডাউন থেকে কী কী মিলল?

বাজি উদ্ধারে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি, এফআইআরে নাম থাকা রমজান আলি ওরফে কালোর খোঁজ করছে পুলিশ। মূল অভিযোগকারী প্রভাস চক্রবর্তীর অভিযোগে নাম রয়েছে এই আইএসএফ কর্মীর। তাঁর বিরুদ্ধে কেরামত আলির সঙ্গে যোগসাজশে বেআইনি বাজি কারবারে মদত জোগানোর অভিযোগ রয়েছে। দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে রমরমিয়ে চলত কেরামত আলির বেআইনি বাজি কারবার। বিস্ফোরণস্থলের (Bomb Blast)  কয়েকশো মিটার দূরে মজুত করা রয়েছে বাজি ও রাসায়নিক। ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেরামত ও তার ছেলে-সহ ৯ জনের মৃত্যুর ২ দিন পর মোচপোল গ্রামে ফের বাজির পাহাড়ের খোঁজ। বিস্ফোরণস্থল থেকে কিছুটা দূরে বাঁশ বাগানের মধ্যে কেরামতের আরও একটি গোডাউনের হদিশ মিলল। গোডাউনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ক্লোরাইড উদ্ধার হল। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি বাজির কারবার ফেঁদে বসেছিল কেরামত আলি। গুদামে এখনও মজুত রয়েছে প্রচুর রাসায়নিক। পাশেই আরও একটি বন্ধ ঘরে বাজি ঠাসা রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘন জনবসতি এলাকায় এ ধরনের গুদাম থাকায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও গুদাম ভাড়া করে বাজির কারবার চালাত কেরামত। বসতি এলাকায় বিপজ্জনক ব্যবসা নিয়ে আপত্তি জানালে কেরামত আলি হুমকিও দিত বলে অভিযোগ।

 

 দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles