মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালা বদলের পর হিন্দুদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় বিশ্ব দরবারে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এপার বাংলায় প্রতিবাদ আন্দোলন হয়েছে। এই আবহের মধ্যে এবার পাকিস্তানের পতাকার ওপর হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দিয়ে পোস্টার পড়ল মুর্শিদাবাদে। শুক্রবার সকালে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর থানার হাতিনগর এলাকার একটি স্কুলের গেটে এই পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। এরকম ২টি পোস্টার পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর জুড়ে। কে বা কারা এই ধরণের পোস্টার সাঁটল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)
উদ্ধার হওয়া একটি পোস্টারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। পোস্টারের ওপরে লেখা 'পাকিস্তান (Pakistan) জিন্দাবাদ'। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পোস্টারগুলি খুলে নিয়ে যায়। ওদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন মহিলারা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার রাতে এই পোস্টার লাগিয়েছে কেউ বা কারা। তবে, কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা বলতে পারেনি কেউ। তদন্তে নেমে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। রাজ্য সরকারের ওপর ভরসা নেই। তাই মুর্শিদাবাদকে (Murshidabad) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হোক বা বিএসএফ অথবা কেন্দ্রীয় কোনও বাহিনীর ওপর নিরাপত্তার ভার দেওয়া হোক। তবে এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!
শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিধায়ক বিজেপির গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “এই ধরনের কাজ যাঁরা করছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া উচিত। রাজ্যজুড়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন চুপ করে রয়েছে। এখানে আইনের শাসন নেই।” প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “কিছু শক্তি মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের ঘটনার পর এর প্রবণতা আরও বাড়তে পারে। কারণ, বাংলাদেশে অনেক ভারত বিরোধী শক্তি, সাম্প্রদায়িক শক্তি, মৌলবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে। সেখানে হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে।” এই নিয়ে বহরমপুর জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “এই ঘটনা কোনওভাবেই অভিপ্রেত নয়। আমরা জেলা পুলিশকে জানিয়েছি। দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপ করা হোক।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours