CV Ananda Bose: ‘শাহজাহান বাহিনীর হাত থেকে বাঁচান’, রাজ্যপালকে পায়ে হাত দিয়ে আর্জি মহিলাদের

সন্দেশখালিতে রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে আতঙ্কিত মহিলারা কী বললেন?
Untitled_design_-_2024-02-12T152842538
Untitled_design_-_2024-02-12T152842538

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। এদিকে, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারির জেরে সোমবারই এলাকায় বনধ ডেকেছে বামেরা। সোমবার মিনাখাঁর বাসন্তী হাইওয়েতে বামনপুকুর এলাকায় রাজ্যপালকে যেতে বাধা দেওয়া হয়। মহিলাদের হাতে পোস্টার দিয়ে তৃণমূলীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পদে পদে বাধা পেয়ে অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছান রাজ্যপাল।

রাজ্যপালকে (CV Ananda Bose) কী বললেন আতঙ্কিত মহিলারা?

সন্দেশখালির মাটিতে রাজ্যপাল পা রাখতেই ফুল ছড়িয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় রাজ্যপালকে। এদিন রাজ্যপাল পৌঁছনোর আগেই দেখা যায় রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মহিলারা। কোনও প্ল্যাকার্ডে কেন্দ্রীয় পুলিশের দাবি জানানো হয়েছে। কোথাও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। রাজ্যপালের হাতে রাখিও পরিয়ে দেন অনেক মহিলা। একের পর এক মহিলা এসে তাঁর কাছে অত্যাচারের অভিযোগ জানাতে থাকেন। অনেক মহিলা তাঁর পায়ে পড়লেন। রাজ্যপালের সামনে অনেকে আবার হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন। শাহজাহান বাহিনী নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁর বাহিনীর অত্যাচারের কথা তাঁরা বলেন। শেখ শাহজাহান এবং তাঁর সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা। গ্রেফতার না করা হলে রাজ্যপাল চলে গেলে, তাঁদের উপর আরও অত্যাচার নেমে আসবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন তাঁরা। এক মহিলা রাজ্যপালের সামনে বলেন, 'আমাদের মায়েদের শান্তির জন্য আপনারা কী চাইছেন জানি না। শাহজাহান বাহিনীর হাত থেকে আমাদের বাঁচান। কিন্তু, শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরাদের না ধরলে আপনারা চলে গেলে আমাদের যে অবস্থা হবে তা আরও ভয়ঙ্কর হবে। আমরা এরপর মুখ তুলে তাকাতে পারব না। ১৩ বছর ধরে যা অত্যাচার হচ্ছে, তার থেকেও ভয়ঙ্কর হবে। ওরা যদি ফিরে আসে।'

সন্দেশখালিতে গিয়ে কী বললেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

সবার অভিযোগ শোনেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেন, "যাবতীয় ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রামের মহিলাদের সুরক্ষিত রাখা ও নিরাপদে রাখার জন্য যা যা করার তা করা হবে।"  সূত্রের খবর, ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে কথাও বলেছেন সি ভি আনন্দ বোস। এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার আগে তিনি বলেন, "কেরল সফরে ব্যস্ত থাকার সময় সন্দেশখালির ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানতে পারি। তাই সফর কাটছাঁট করেই চলে এসেছি।"

দফায় দফায় বিক্ষোভ

কেরল সফর থেকে কলকাতায় ফিরে সোমবারই যে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সন্দেশখালি যাবেন, সেই পরিকল্পনা আগেই ছিল। সকালে বিমানবন্দরে নামার পর নির্ধারিত রাস্তা দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কনভয়। সেই পথেই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হল রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে। সকাল ১১ টা নাগাদ যখন রাজ্যপালের গাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কনভয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান একদল মহিলা। বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের ভিতরে একবার নয়, একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে। মিনাখাঁর ওপর দিয়ে বামনগাছির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল কনভয়। প্রথমে বামনপুকুর এলাকায় আটকানো হয় গাড়ি।

কচিকাঁচাদের হাতে প্লাকার্ড!

বিক্ষোভকারীদের হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড। তাতে জানানো হয়েছে বকেয়া টাকার দাবি। সেখান থেকে পুলিশ কোনও ক্রমে জমায়েত সরিয়ে দেওয়ার পর কয়েকশ মিটার দূরে কালীতলা ফের দেখা যায় একই ছবি। আবারও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালেক কনভয়। এমনকী কচিকাঁচাদের হাতে ছিল প্লাকার্ড। কেন পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে তা জানে না তারা। তৃণমূলীদের শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন মহিলারা। অনেকে আবার বলছেন, এলাকায় ইডি কেন আসছে। সন্দেশখালি থানাতে অশান্তি হচ্ছে কেন? এসবের জন্য তাঁরা জমায়েত হয়েছে। রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) কাছে আবাস যোজনার বাড়ি  চাইলেই পাওয়া যাবে বলে তৃণমূলের লোকজন মহিলাদের জমায়েক করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বার বার রাজ্যপালকে বিক্ষোভ দেখানো হলেও পুলিশের ভূমিকা ততটা সক্রিয় ছিল না।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles