Agitation: পুরসভার গেট বন্ধ করে আন্দোলনে অস্থায়ী কর্মীরা, কেন জানেন?

আন্দোলনের জেরে ব্যাহত নাগরিক পরিষেবা
WhatsApp_Image_2023-05-10_at_1147.20_AM
WhatsApp_Image_2023-05-10_at_1147.20_AM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেতন ও কাজের দাবি নিয়ে পুরসভার গেটের সামনে হাতে থালা ও কাজের সরঞ্জাম নিয়ে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের বা ভিসিটি-র কর্মীরা বিক্ষোভে (Agitation) ফেটে পড়েন। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা পুরসভার সামনে বুধবার সকাল থেকে চলে এই বিক্ষোভ। কাজ বন্ধ রেখেই তাঁরা আন্দোলনে সামিল হন। আন্দোলনের জেরে পুরসভার নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হয়।  তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে কর্মীদের এই বিক্ষোভের (Agitation) ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

কেন এই আন্দোলন (Agitation)?

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ২৬ দিন কাজ। আর সঙ্গে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে মজুরি পাই। এই শর্তে আমরা সকলে কাজে যোগ দিই। কিন্তু, কাজে যোগ দেওয়ার পর কয়েক মাস ঠিকমতো আমরা হাতে কাজ পাচ্ছিলাম। ২০০ টাকা মজুরিতে কষ্ট হলেও আমরা চালিয়ে নিচ্ছিলাম। এখন বেশিদিন আমাদের কাজ নেই। ফলে, রোজগারও কমে গিয়েছে। এমনিতে মূল্যবৃদ্ধির বাজার। এই অবস্থায় ২০০ টাকা রোজে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, আমাদের দাবি, অবিলম্বে মাসে ২৬ দিনের কাজ সুনিশ্চিত করতে হবে। সঙ্গে মজুরি ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করতে হবে। আমরা এর আগে বহুবার এই দাবি জানিয়েছি। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই, বাধ্য হলে এদিন কাজ বন্ধ রেখে আমরা আন্দোলনে সামিল হয়েছি। অপরদিকে পুরসভার গেটের সামনে পুরসভার অস্থায়ী সাফাই দফতরের কর্মীরা বিক্ষোভে (Agitation)  সামিল হয়েছেন। তাদেরও দাবি, সঠিক সময়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে না।

কী বললেন পুরসভার কাউন্সিলর?

এই ঘটনায় চরম বিড়ম্ভনায় পড়েছে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড। আন্দোলনের (Agitation) জেরে পুরসভার কাজকর্ম ব্যাহত হয়। পরে, পুরসভার কাউন্সিলর গোবিন্দ দাস ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দাবিপূরণ নিয়ে আমরা সচেষ্ট হব। চেয়ারম্যান সহ সমস্ত কাউন্সিলররা বসে ওদের সমস্যার সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles