মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই রাতে এক ব্যবসায়ী এবং আরেক ব্যবসায়ীর গাড়ির চালককে মারধর করে ছিনতাই। চালকের কাছ থেকে নগদ অর্থ, বোলেরো গাড়ি এবং ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ অর্থ, ল্যাপটপ ছিনতাই করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলি চালায়। লোহার রড দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। পুলিশের তল্লাশিতে আটক দুই সন্দেহভাজন। প্রশ্নের মুখে এলাকার নিরাপত্তা।
ঠিক কী ঘটেছিল?
মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার ব্যবসায়ী শুভম আগরওয়াল সোমবার রাত ২ টো নাগাদ ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী কুমেদপুর ক্লাবের পাশে নাকা চেকিং পয়েন্টে তার পথ আটকায় একদল দুষ্কৃতী। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তার কাছে থাকা নগদ কয়েক হাজার টাকা এবং একটি ল্যাপটপ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য তারা শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে শুভম আগরওয়ালকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা। এদিকে ভোর ৫ টা নাগাদ রামশিমুল গ্রামের ব্যবসায়ী সেফিকুল আলির গাড়ির চালক তাঁর বোলারো গাড়ি নিয়ে কুমেদপুরের দিকে ব্যবসার কাজে যাচ্ছিলেন। নীলকুটি ঈদগাহের পাশে পাঁচ থেকে ছয় জন দুষ্কৃতী তাঁকে আক্রমণ করে। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করে নগদ টাকা ছিনতাই করে গাড়ি থেকে নামিয়ে বোলারো গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দুটি ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
কী বললেন ব্যবসায়ী ও তাঁর গাড়ির চালক?
ব্যবসায়ী সেফিকুল আলি বলেন, আমার গাড়ির চালক গাড়ি নিয়ে কুমেদপুর যাচ্ছিল। পথ আটকে ওকে মারধর করে নগদ টাকা এবং গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আক্রান্ত গাড়ির চালক মামুন আলি বলেন, আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মারধর করে। আমাকে বলছিল যা আছে সবকিছু দিয়ে দিতে। ওরা সংখ্যায় বেশ কয়েকজন ছিল। তাই আটকাতে পারিনি। প্রসঙ্গত, বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসার দিক থেকে জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন সময় চেষ্টা করে অপরাধমূলক কাজ করে বিহারে পালিয়ে যাওয়ার। নাকা চেকিং পয়েন্টের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এলাকা জুড়ে পুলিশের টহলদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে ঘটনা দুটি ঘটিয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ খবর পাওয়া মাত্র তল্লাশি চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে। সমগ্র ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?
বিজেপির উত্তর মালদার (Malda) সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য কিষাণ কেডিয়া বলেন, এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এরকম হলে ব্যবসায়ীরা কীভাবে কাজে যাবেন। আমরা অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours