মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্ত্র কারখানার (Arms Factory) হদিশ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার রামচন্দ্রখালি পঞ্চায়েতের ছোটকলাহাজরা তেঁতুলতলা এলাকায়। পুরানো অস্ত্র মেরামতি করার পাশাপাশি নতুন অস্ত্র তৈরি করা হত সেখানে। একটি বাড়ির মধ্যেই চলত অস্ত্র কারখানা (Arms Factory)। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করে। একইসঙ্গে এই অস্ত্র কারবার (Arms Factory) চালানোর অভিযোগে মূল অভিযুক্তসহ দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যেভাবে একের পর এক অস্ত্র কারখানা আর অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার হচ্ছে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জেলাবাসী।
জরির কাজের আড়ালেই চলত অস্ত্রের কারখানা (Arms Factory)
বাসন্তীর রামচন্দ্রখালির তেঁতুলতলা এলাকায়|পুকুরের পাড়ে খড়ের ছাউনির ঘরেই এই অস্ত্র তৈরির কারখানা (Arms Factory) ছিল। মহিলারা বাড়ির মধ্যে জরির কাজ করতেন। আর তার আড়ালেই চলত অস্ত্রের কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস ও বাসন্তী থানার এস আই সোমনাথ দাসের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। পুলিশ সূত্রের খবর, বাইকে করে পুলিশের বিশেষ টিম মোতালেবের ডেরায় যায়। তারপর ক্রেতা সেজে তারা ওই বাড়িতে যায়। অস্ত্র নিয়ে দামদর করতেই একদল পুলিশ তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে সাতটি ইম্প্রোভাইজ লং আর্মস, ড্রিল মেশিনসহ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। আর এই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে মোতালেব পুরকাইত এবং জয়নাল মোল্লাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বাসন্তী, ক্যানিং, গোসাবায় মোটা টাকায় অস্ত্র বিক্রি করা হত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ওয়ান শাটারের দাম ১২ হাজার টাকা এবং একনলা সিঙ্গেল ব্যারেল পাইপগান ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি হত।
কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?
বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার মিস পুষ্পা বলেন, সকলের চোখে ধূলো দিতে ওই বাড়িতে মহিলারা জরির কাজ করত। এই কারবারের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোতালেব পুরকাইতকে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ অস্ত্র কারখানা (Arms Factory) চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সময় উদ্ধার হয়েছিল ৬ টি আর্মস। এবারও সেই একই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours