মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কলকাতার এসএসকেএম-এর (SSKM) নার্সিং হস্টেলের শৌচাগার থেকে এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। মৃত ওই ছাত্রীর নাম সুতপা কর্মকার। তিনি জেএনএম নার্সিং প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে হস্টেলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ। এসএসকেএম হাসপাতালের লিটন নার্সিং হস্টেলে থাকতেন ওই ছাত্রী।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (SSKM)
হস্টেল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের দেবীনগরে ২৬ নং ওয়ার্ডে। খবর পেয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁর বাবা- মা। তাঁর বাবা সুদামা কর্মকার পেশায় একজন স্বর্ণকার। মা বেলা কর্মকার একজন গৃহবধূ। তাঁদের একমাত্র মেয়ে সুতপা। গত চার বছর ধরে কলকাতায় এসএসকেএম-এ (SSKM) পড়াশুনা করছিলেন সুতাপা। ঘটনার খবর পেয়ে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ ধরে বাথরুমের দরজা বন্ধ ছিল। সুতপাকে এক বান্ধবী ডাকতে যান। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর তাঁর সাড়া না মেলায় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। খবর যায় ভবানীপুর থানায়। পুলিশ হস্টেলে বাথরুমের দরজা ভেঙে সুতপার নিথর দেহ উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে। সুতপার বান্ধবী ও হস্টেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। সুতপার বান্ধবীরা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে মেলামেশা কমিয়ে দিয়েছিল। কথাবার্তাও খুব কম বলত। অনেকবার তার কাছে সমস্যার কথা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, খোলসা করে ও কিছু বলেনি।
কী বললেন পরিবারের লোকজন?
যদিও স্থানীয় পুর কো-অর্ডিনেটর অভিজিৎ সাহা বলেন, 'পুলিশ প্রশাসন আমাকে ফোন করে ওই ছাত্রীর বাবা-মাকে দ্রুত কলকাতায় পাঠানোর জন্য বলে। সুতপা খুব অসুস্থ রয়েছে তা জানানো হয়। তার বাবা-মা ইতিমধ্যেই কলকাতার এসএসকেএমে (SSKM) পৌঁচ্ছে গিয়েছে। এর বেশি আর কিছু জানা নেই। আমরা পাড়া প্রতিবেশীরা সকলেই চিন্তায় আছি। সুতপার বাবা সুদামা কর্মকার বলেন, আমার মেয়ে এভাবে মারা যেতে পারে না। আমি এই ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি করছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours