মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। রাজ্যে কাজের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ছড়ানেখালির তিন ভাই হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েন অন্ধ্রপ্রদেশে যাচ্ছিলেন ধান রোয়ার কাজ করতে। ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করে টাকা পাঠাবেন পরিবারে। হাসি ফুটবে ছোট ছোট সন্তানদের মুখে। এমনটাই ভাবনা ছিল তাঁদের। কিন্তু, বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিল তিন ভাইয়ের। এখনও শোকে বিহ্বল গোটা গায়েন পরিবার। মঙ্গলবার এই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে আসেন রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি ট্রেন দুর্ঘটনায় এই গ্রামেরই সঞ্জয় হালদার এবং বিকাশ হালদার নামে দুজনের মৃত্যু হয়। এই দুই পরিবারের সঙ্গেও রাজ্যপাল কথা বলেন। এদিন রাজ্যপাল অসহায় এই পরিবারগুলির সদস্যদের হাতে চাল, ডাল, ফল তুলে দেন।
রাজ্যপালকে (Governor) কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?
এদিন রাজ্যপাল (Governor) গ্রামে আসতেই তাঁকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। মৃতের পরিবারের এক সদস্য রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। তাঁর হাত জড়িয়ে ধরে বলেন, গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। বাইরে থেকে জল কিনে খেতে হয়। এলাকায় কোনও উন্নয়ন নেই। হাতে কাজ নেই। তাই, বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ ভিন রাজ্যে কাজে যান। আর সেই কাজে যেতে গিয়ে এই দুর্ঘটনায় কবলে পড়়ে মৃত্যু হয়েছে সকলের। এলাকায় কিছু করার জন্য রাজ্যপালকে এলাকাবাসী অনুরোধ জানান।
কী বললেন রাজ্যপাল (Governor)?
দুর্ঘটনায় মৃতদের শ্রাদ্ধশান্তির কাজ রাজভবনের তরফে করা হবে বলে জানান রাজ্যপাল (Governor)। প্রত্যেক নিহতের পরিবারের জনধন অ্যাকাউন্টে দশ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা অত্যন্ত বেদনার। পাশে থাকার বার্তআ দিতে এখানে এসেছি। আগামী দিনও এই পরিবারের পাশে আমরা থাকব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours