মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। নথি নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে গেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দুই প্রতিনিধি। ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই দুপুর ১২টা নাগাদ ২০১২ এবং ২০১৪ সালে টেটের (TET Scam) প্যানেল সংক্রান্ত নথি নিয়ে তাঁরা হাজিরা দিয়েছেন।
কেন এই তলব?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচীকে এদিন নথি-সহ তলব করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে মানিক ভট্টাচার্য যখন ছিলেন, সেই সময় সচিব পদে কর্মরত ছিলেন রত্না। পর্ষদ সূত্রে খবর, বিভিন্ন সময়েই ইডির তরফ থেকে নথি চেয়ে পাঠানো হয়। সেই মতোই মঙ্গলবার নথি পাঠানো হয়েছে ইডির দফতরে। তবে ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে টেটের প্যানেলের মতো একই ধরনের প্যানেল পাওয়া গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই ডেকে পাঠানো হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে।
আরও পড়ুন: পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি! রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা এই দুই প্যানেল (TET Scam) মিলিয়ে দেখতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে যদি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্যানেলের নথি ও অয়নের বাড়ি থেকে পাওয়া প্যানেলের নথির মিল পাওয়া যায়, তাহলে এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অয়নের যোগ আরও স্পষ্ট হবে।
অয়ন যোগ
প্রাইমারি স্কুলে (TET Scam) চাকরি করে দেওয়ার নামে অয়ন ৩৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন বলে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কলকাতার বাসিন্দা, জনৈকা সোমা মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পুলিশের খাতায় অয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল, তারও আগে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এলাকাসূত্রে খবর, মাঝবয়সি অয়ন প্রথমে কম্পিউটার সারাতেন। বছর তিনেক ব্লক অফিসে করণিকের কাজ করেন। তার পরে প্রোমোটিং ব্যবসায় আসেন। প্রতিপত্তি বাড়ে। থাকতেন কলকাতায়।চুঁচুড়ায় আসতেন কম। টলিউডেও পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। অভিযোগ, ২০০২-০৩ সালে অয়নের বাড়ির সামনে ব্যাগে করে টাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন চাকরিপ্রার্থীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours