মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের ৭২ ঘণ্টা পর থেকেই তৃণমূলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের কারণে জেলা জুড়ে বাড়ছে ঘরছাড়াদের সংখ্যা। ঘরছাড়া বিজেপি (BJP) কর্মীদের বর্তমানে ঠিকানা বিভিন্ন এলাকার বিজেপি কার্যালয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ফলপ্রকাশের পর ঘরছাড়া হতে হয়েছে ৫০০রও বেশি বিজেপি নেতাকর্মীকে। বর্তমানে মেদিনীপুর জেলা পার্টি অফিসে রয়েছেন ২৬ জন ঘরছাড়া। এদের মধ্যে কেউ পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী, কেউ পোলিং এজেন্ট কেউবা আবার এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। নিত্যদিন মেদিনীপুর জেলা পার্টি অফিসে বাড়ছে আশ্রিতদের সংখ্যা। ঘরছাড়াদের তালিকায় এমন মানুষও আছে যারা ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পর দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন, হাইকোর্টের রায়ে দীর্ঘদিন পর ঘরে ফিরেছিলেন তাঁরা। পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতেই ফের তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে ঘর ছাড়তে হয়েছে তাঁদের।
কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?
জেলা বিজেপির (BJP) মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, ছাপ্পা মেরে, ভোট লুট করে তৃণমূল ক্ষমতা দখল করেছে। ভোট জেতার পর থেকেই শুরু হয়েছে সন্ত্রাস। ফলে, বিজেপি কর্মীরা নিজেদের এলাকায় থাকতে পারছেন না। এই ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের ঘরে ফেরাতে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে গোটা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।
কী বললেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব?
এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে কোথাও কোনও সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেনি। বিজেপির কোনও কর্মী ঘরছাড়া থাকলে সরাসরি আমার কাছে আবেদন করলেই হবে। আবেদন পেলে আমি নিজে গিয়ে ঘরে ফিরিয়ে দিয়ে আসব। আসলে ভোটের পর বিজেপি (BJP) এসব করে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। বরং, এসব করে মানুষের কাছে ওদের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ
+ There are no comments
Add yours