মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত (Convicts) হলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক (Yasin Malik)। দিল্লির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র বিশেষ আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। আগামী ২৫ মে তাঁর কী ধরনের সাজা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইয়াসিনকে নিয়ে এই হাইভোল্টেজ মামলা গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে। ‘আন লফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ বা ইউএপিএর আওতায় ইয়াসিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। এদিন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির এনআইএ আদালত। জানা গিয়েছে ইয়াসিন মালিক নিজেই জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্যের (Terror funding)কথা স্বীকার করেছেন। আর সেই বক্তব্যের ভিত্তিতেই ইয়াসিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, পরবর্তী শুনানির আগেই ইয়াসিন মালিককে তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত হলফনামাও জমা দিতে বলেছে আদালত। সেই হলফনামায় তাঁর আর্থিক অঙ্কের পরিমাণ জানাতে হবে ইয়াসিনকে। তার ওপর ভিত্তি করে ইয়াসিনের সাজার অঙ্কও নির্ধারিত হতে পারে বলে,বিশেষজ্ঞদের মত। মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাশ্মীর উপত্যকায় ২০১৭ সালে জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছিলেন তিনি। এর আগের শুনানির দিনই মালিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, এই মামলায় তিনি আর লড়াই করবেন না। মালিকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনের ধারা ১৬, ১৭, ১৮ এবং ২০-তে মামলায় দায়ের হয়েছিল। এছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি এবং ১২৪ এ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু হয়।
গত ১০ মে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইন (ইউএপিএ)-এর অধীনে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন কাশ্মীরের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। ইয়াসিনের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র, জঙ্গি দলের সদস্য, দেশদ্রোহ এবং ফৌজদারী ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়। এনআইএ আদালত আগেই জানিয়েছিল, ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’-এর নামে একটা বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন ইয়াসিন। সেখান থেকে টাকা সংগ্রহ করে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের আর্থিক সহযোগিতা করছেন। ইয়াসিন ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা চলছে ।
+ There are no comments
Add yours