মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাটা (Tata) গোষ্ঠী মালিকাধীন এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) নতুন করে ৩০০টি 'ন্যারো বডি এয়ারক্র্যাফট' (narrowbody jets) বা ছোট, মাঝারি মাপের বিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে। ২০০৬ সালের পর থেকে এয়ার ইন্ডিয়া নতুন করে কোনও বিমান কেনেনি। ফলে এই বিমান কেনার চুক্তি সফল হলে দেশের বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবায় এয়ার ইন্ডিয়া এক নতুন ইতিহাস তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: ঘটনার সময় বিমান ছিল অটোপাইলট মোডে! 'বসিয়ে দেওয়া' হল পাইলট, ইঞ্জিনিয়ারদের
খবর সূত্রে জানা যায়, এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারবাস এসই-র এ৩২০নিও ফ্যামিলি জেট (Airbus SE’s A320neo family jets) অথবা বোয়িং কো’র ৭৩৭ ম্যাক্স (Boeing Co.’s 737 Max) মডেলের বিমান অথবা দুটোরই অর্ডার দিতে পারে। জানা যায়, ৩০০টি ৭৩৭ ম্যাক্স-১০ জেট (737 Max-10 jets) কিনতে খরচ হতে পারে প্রায় ৪০.৫ বিলিয়ন ডলার($40.5 billion )। তবে এই বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে মোদি সরকারের কাছ থেকে লোকসানে থাকা এয়ার ইন্ডিয়া কিনে নেয় টাটা গোষ্ঠী (Tata Group)।
বোয়িং (Boeing )কোম্পানির সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার ৩০০ টি বিমান কেনার চুক্তিটি সফল হলে বোয়িং কোম্পানির জন্যই ভালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ করোনার আগে পর্যন্ত এয়ারবাস (Airbus) কোম্পানিই বিমান পরিষেবার বাজারে বিশ্বে প্রথম স্থানে ছিল। এছাড়া ইন্ডিগো (IndiGo), ভিস্তারা(Vistara), গো এয়ারলাইন্স (Go Airlines)-এর বিমালগুলো ইন্টারগ্লোব অ্যাভিয়েশন (InterGlobe Aviation Ltd) কোম্পানির থেকেই অর্ডার করা হয়। এয়ারবাস একমাসেই ৫০ টি 'ন্যারো বডি এয়ারক্র্যাফট' তৈরি করে। এয়ার ইন্ডিয়া পরিকল্পনা করেছে ২০২৩ সালের মধ্যে ৬৫ টি এবং ২০২৫-এর মধ্যে ৭৫ টি ন্যারো বডি বা ছোট, মাঝারি মাপের বিমানের অর্ডার করা হবে।
আরও পড়ুন: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন 'হিরো', কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?
এয়ার ইন্ডিয়ার পুরো নিয়ন্ত্রন টাটা গ্রুপকে দেওয়ার পর থেকেই টাটা গ্রুপ এটিকে পুনর্গঠিত করার চেষ্টা করছে। এয়ার ইন্ডিয়া নতুন বিমান দিয়ে তার পরিষেবা বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। এছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়াকে পুনর্গঠিত করার জন্য ইতিমধ্যেই অনেক পরিকল্পনাও নিয়েছে টাটা গ্রুপ।
+ There are no comments
Add yours