মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার সময়ে গোটা বিশ্বকে তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, গত বারের থেকে অনেক বেশি ‘উদার’ নীতি নিয়ে দেশ শাসন করবে। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, আসল ছবিটা ধীরে ধীরে বিশ্বের সামনে আসছে। সরকার গড়ার পরেই মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার উপরে কোপ পড়েছে, সরকারি চাকরি থেকেও বাদ পড়েছেন মহিলারা, মহিলাদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে হিজাবে চলবে না, জনসমক্ষে পরতে হবে বোরখা। এবার ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালিবান। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম হেরাট প্রদেশে এই নতুন ফতোয়া জারি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, হেরাট প্রদেশের পুরুষদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে তাঁরা পরিবারের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন না। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হলেও একসঙ্গে বসা যাবে না। তালিবানের 'প্রমোশন অব ভার্চু অ্যান্ড প্রিভেনশন অব ভাইস অ্যাপ্লাই' মন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেস্তোরাঁগুলিতে খেতে গেলে সেখানকার ম্যানেজারেরা আলাদা টেবিলে বসার নির্দেশ দিচ্ছেন। তালিবান আধিকারিক রিয়াজুল্লাহ সিরাত জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রেস্তোরাঁই নয়, পার্কগুলিতেও এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। মহিলা ও পুরুষেরা আলাদা আলাদা দিনে পার্কে যাবে। মহিলারা বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার পার্কে যেতে পারবেন। বাকি দিনে আফগান পুরুষেরা শরীরচর্চার জন্য পার্কে যাবেন।
এদিকে, ফতোয়া ঘিরে তালিবানের দ্বিচারিতাও প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি, একটি সাক্ষাৎকারে তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন স্বীকার করেন যে বাকি মেয়েদের মেয়েদের জন্য স্কুল নিষিদ্ধ করা হলেও, তাঁর দুই মেয়ে দিব্যি স্কুলে যায়। সুহেল জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে হিজাব পরে স্কুলে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুহেলের এই বক্তব্য প্রকাশ পেতেই হইচই পডডে গিয়েছে। অনেক নেটাগরিক সুহেলের কন্যার সম্পর্কে একাধিক তথ্য প্রকাশ করেছেন। এমনই এক নেটিজেন লিখেছেন, সুহেলের মেয়ে কাতার ফুটবল দলে খেলে। কাতারি যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তার। অথচ, আফগান মেয়েরা ষষ্ঠ শ্রেণির বেশি পড়তে পারে না। খেলাধুলো করতে পারে না।
+ There are no comments
Add yours