মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফের সরব পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনের বৈষম্য ও অপদার্থতার নিদর্শন” - সোশ্যাল মিডিয়ায় এই শীর্ষক একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন তিনি। রবিবার ভিডিও ফুটেজ সহ 'নজিরবিহীন’ ঘটনার কথা সামনে আনেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
শুভেন্দুর ট্যুইটে বর্ণিত প্রথম ঘটনা
দীর্ঘ পোস্টে দুটি ঘটনার ছবি তুলে ধরেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখেছেন, “চিত্র ১: রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো-সহ কুড়মি আন্দোলনের ৯ নেতা-কর্মীকে বিনা অপরাধে, তথ্য প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও, শুধুমাত্র ভাইপোকে (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে) তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে এবং হেফাজতে নিয়ে ওনাদের ওপর অকথ্য মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করার লক্ষ্যে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি। ঝাড়গ্রাম বিশেষ দায়রা আদালত সিআইডি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন।"
শুভেন্দুর ট্যুইটে বর্ণিত দ্বিতীয় ঘটনা
এরপর দ্বিতীয় ঘটনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, "চিত্র ২: মুর্শিদাবাদের ডোমকলে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বের দ্বিতীয় দিনে সমাজবিরোধীদের একত্রিত করে, গুন্ডামি করে তৃণমূল ৷ সেই উত্তেজক পরিস্থিতির মধ্যেই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বশির মোল্লার কোমর থেকে প্রকাশ্যেই পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ ৷ তৃণমূল নেতার কোমর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে নেওয়ার ভিডিও সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়৷" এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু জানান, "কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার, বশির মোল্লাকে বলছেন; “পালিয়ে যাননি কেন, আমার সামনে ধরা পড়েছেন যখন আর কিছু করার নেই।”
আরও পড়ুুন: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, "আমার ধারণা এই দৃশ্য সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা না পড়লে, বশির মোল্লাকে পুলিশ এমনিই ছেড়ে দিত আগ্নেয়াস্ত্র সহ। আদালতে সরকারি আইনজীবী বশির মোল্লার পুলিশি হেফাজতের আবেদনই জানাননি। অর্থাৎ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করতে বাধ্য হলেও, বশির মোল্লাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রয়োজনই বোধ করল না পুলিশ। এই বেআইনি অস্ত্র বশির মোল্লা জোগাড় করলো কোথা থেকে?" শুভেন্দুর কথায়, "তা জানার আগ্রহ নেই পুলিশের এবং তার অস্ত্রভাণ্ডারে এই রকম আর কত অস্ত্র মজুত রয়েছে তার খোঁজও চালাতে নারাজ পুলিশ! আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশি হেফাজতকে, তদন্তের স্বার্থে ব্যবহার না করে হিটলারের নাৎসি জমানার গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছেন, সরকার বিরোধী যে কোনও গণতান্ত্রিক আওয়াজের কণ্ঠরোধ করার জন্য। তা সে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদেরই হোক অথবা কোনও সামাজিক সংগঠনের নেতা কর্মীদেরই হোক।"
শুভেন্দুর আশা
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আশা, "মহামান্য উচ্চ আদালত, নিম্ন আদালতে নিত্যদিন ঘটে চলা পুলিশ ও সরকারি আইনজীবদের এই দ্বৈত ভূমিকা নিজেদের পর্যবেক্ষণে আনবেন৷”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours