মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মন। তারপর পরে ময়নায় চলতি মাসের ২ তারিখে খুন হন বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। সোমবার দুই মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের একজন করে সদস্যকে নিজের দফতরে নিয়োগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর মতো বিরোধী দলনেতারও চাকরি দেওয়ার কিছু কোটা থাকে। সেই কোটা থেকেই এই দুজনকে নিয়োগ দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। জানা গেছে, এক বছরে তিনজন করে গ্রুপ ডি অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ করার সুযোগ থাকে বিরোধী দলনেতার সেই পদেই এদের দুজনকে নিয়োগ করা হল।
সোমবারই বিধানসভায় আসেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা
সোমবারে বিধানসভায় আসেন মৃত্যুঞ্জয়ের বর্মনের স্ত্রী গৌরী বর্মন এবং বিজয় কৃষ্ণ ভূঁইয়ার ছেলে প্রসেনজিৎ ভূঁইয়া। জানা গেছে, আগামী এক বছর বিরোধী দলনেতার অফিসে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করবেন এই দুইজন। এক বছর এদেরকে প্রবিশন পিরিয়ডে থাকতে হবে। এরপর তাদের স্থায়ীকরণের আবেদন যাবে রাজ্য সরকারের কাছে, এক বছরের মধ্যে যদি চাকরি তাঁরা ছেড়ে না যান, তাহলে এই আবেদন পাঠানো যায়। এদিন, এ প্রসঙ্গে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের স্ত্রী বলেন, ‘‘চাকরিটা হওয়ায় সংসারের সমস্যার কিছুটা সুরাহা হল। কিন্তু যারা গুলি করে আমার স্বামীকে মেরেছে তাদের শাস্তি চাই। সিবিআই তদন্ত চাই। যতদিন বিচার না পাব, লড়াই জারি থাকবে।
কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?
এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারের কাছে চাকরির আবেদন জানিয়েছিলাম কিন্তু এমন নির্দয় সরকার যে কোন সাড়া দিল না। তাই আমরা একটা ব্যবস্থা করলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি তো কালিয়াগঞ্জে গিয়ে দেখে এলাম বহাল তবিয়তে মোয়াজ্জেম ডিউটি করছে। ন্যূনতম শাস্তিও দেওয়া হয়নি পুলিশ অফিসারকে।’’ প্রসঙ্গত, এই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ ওঠে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours