Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু রাজবংশী যুবকের! ‘‘দায় নিতে হবে মমতাকে’’, ট্যুইট শুভেন্দুর

কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবি সুকান্তর
suvendu-sukanta
suvendu-sukanta

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের গুলিতে যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj)। পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

শুভেন্দুর অভিযোগ

বৃহস্পতিবার সকালে এক ট্যুইটে মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে ৩৩ বছর বয়সী ওই যুবকের মৃত্যুর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন শুভেন্দু। কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শুভেন্দু লেখেন, 'এক রাজবংশী যুবককে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে মমতার পুলিশ। ট্রিগার হ্যাপি মমতা পুলিশ মধ্যরাত ২টো ৩০ মিনিটে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু তাঁকে পায়নি। এর পর ৩৩ বছর বয়সী রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে নৃশংসভাবে গুলি করে খুন করে তারা। এটা রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নিকৃষ্ট নজির। রাজ্য যখন জ্বলছে, গণঅভ্যুত্থানের পথে এগোচ্ছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজা নিরোর মতো আহ্লাদে রয়েছেন’।

গতকাল কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) কাছে রাধিকাপুর গ্রামে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর দাবি, বিজেপি নেতাকে ধরতে এসেছিল পুলিশ। তিনি বাড়িতে না থাকায় তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে মারতে মারতে গাড়িতে তুলছিল পুলিশ। সেই সময় বিজেপি নেতার ভাইপো গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা জিজ্ঞেস করতেই গুলি চালায় পুলিশ।

আরও পড়ুন: স্কুলব্যাগে বিশ্ব বাংলা লোগো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

সুকান্তর দাবি

সুকান্ত মজদুমদার (Sukanta Majumdar) এদিন কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ও কালিয়াচক দুটি ঘটনাতেই পৃথক সিবিআই তদন্ত দাবি করেন। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

সুকান্ত (Sukanta Majumdar) লেখেন, "বিস্মিত! কালিয়াগঞ্জে সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময়, যখন বাংলা জ্বলছিল, তখন ওই পুলিশ নীরব দর্শক হয়েছিল। সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য অবিলম্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।"

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles