মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভা করার কথা আগেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সভার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। অবশেষে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় নির্ধারিত সভা বাতিল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । এদিন খেজুরিতে সভা করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা। সভা করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার বচসা বাধে। এরপর খেজুরিতেই সভা করার হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু। এ-বিষয়ে সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। শনিবার শুভেন্দু বলেন, 'আমাদের ট্যাক্সের টাকায় বেতন পায়। সোমবার আদালতে যাব। আগামী শনিবার আসব। আলিপুর বাজারেই আমি সভা করব।'
কেন সভা?
গত ১০ অগাস্ট খেজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। খেজুরির ২৮টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসন দখল করে বিজেপি ও ১২টি আসন পায় তৃণমূল। সেই বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে দুই দলের কর্মীদের বচসা হয়। পরে, হাতাহাতিতে পৌঁছায়। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, ওই দিনের ঘটনায় তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর আহত ওই বিজেপি কর্মীদের নিয়ে শনিবার সভা করতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু, মেলেনি পুলিশি অনুমতি । পালটা পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে গোটা এলাকায়। সভা অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদেই বিরোধী দলনেতা এদিন শ্যামপুর মোড়ে আসেন। বিজেপি কর্মী- সমর্থকদের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হব।
সভায় পুলিশি বাধা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)
এদিন বিজেপি নেতা গোপাল মাইতির বাড়িতে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) । অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের দিন তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন আর তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে বাড়ি ফিরেছেন গোপাল । তাই গোপালের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। এরপর খেজুরি বিদ্যাপীঠ এলাকায় একটি মিটিং হলে দলীয় জয়ী সদস্যদের নিয়ে তিনি সভা করেন। পুলিশ সভার অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, 'আমাকে এরা ভয় পেয়েছে। তাই ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, আগামী সোমবার হাইকোর্টে মামলা হবে। আদালতের অনুমতি নিয়েই আগামী শনিবার আলিপুর বাজারেই সভা করব। এই এলাকায় বিজেপি জিতেছে। তাই পুলিশের মদতে তৃণমূলের লোকেরা গণ্ডগোল করছে। আজকে আমাদের কর্মসূচি ছিল। তৃণমূলের কয়লা, বালি, গরু বিক্রির অনেক টাকা আছে। সেই টাকা দিয়ে আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির দু'জনকে কিনেছে। দু'জনকে কেনার পরেও পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আছি। আমাদের সাতজন সদস্য আছে, তিনজন প্রধান আছেন। এমপি, এমএলএ মিলিয়ে আমরা ১৩ জন আছি।' এদিন শুভেন্দুর কনভয়ের সামনে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা স্লোগান দেন। পালটা ‘জয় শ্রীরাম' স্লোগান দেন বিজেপি সমর্থকরা। তাতে কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours