মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিখদের পাগড়ি (Turban) কিংবা কৃপাণের (Kirpan) সঙ্গে হিজাবের (Hijab) তুলনা চলে না। হিজাব বিতর্কে (Hijab Row) রায় গিয়ে বৃহস্পতিবার এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বর্তমানে দেশের শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে চলছে হিজাব মামলার শুনানি। ওই মামলায় রায় দিয়ে গিয়ে আদালতে জানায়, শিখদের পাগড়ি এবং কৃপাণ ব্যবহারের অনুমতি সংবিধান স্বীকৃত।
কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা কর্নাটক। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মুসলিম পড়ুয়ারা। অশান্তির জেরে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিক্ষোভের মাঝেই ১৫ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকে বহাল রেখে দেয় হাইকোর্ট।
কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি আবেদন দাখিল হয়েছে। কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়। কেবল অপরিহার্য ধর্মীয় আচরণই সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে সুরক্ষা পেতে পারে। সেই ভিত্তিতেই কর্নাটক হাইকোর্ট সেই রাজ্যের মুসলিম পড়ুয়াদের ক্লাসে হিজাব পরার আবেদন খারিজ করে দেয়।
এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী নিজামউদ্দিন পাশা। তিনি নিজেও একজন আবেদনকারী। তিনি ইসলাম এবং অ্যারাবিকের ছাত্র। তিনিই শিখদের পাগড়ি এবং কৃপাণের সঙ্গে হিজাবের তুলনা টানার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর যুক্তি, হিজাব পরিধান মুসলিম মহিলাদের একটি ধর্মীয় অনুশীলন। তাই তাঁদের হিজাব পরে স্কুলে আসতে নিষেধ করা যায় না। তিনি বলেন, শিখ ছাত্ররা তো পাগড়ি পরেন। তাঁর যুক্তি, সাংস্কৃতিক আচার রক্ষা করা উচিত। তথনই বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা বলেন, শিখদের সঙ্গে এ ব্যাপারে তুলনা টানা যায় না। কারণ শিখদের কৃপাণ ব্যবহার সংবিধান স্বীকৃত। আদালতের মন্তব্য, তাই দুটোর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। বিচারপতি গুপ্তা বলেন, পাগড়ি পরার প্রয়োজন রয়েছে। এবং এগুলি দেশের সংস্কৃতির অঙ্গীভূত। আইনজীবী পাশা তখন এ ব্যাপারে ফ্রান্সের রেফারেন্স টানতে যান। বিচারপতি গুপ্তা সঙ্গে সঙ্গে বলেন, ফ্রান্স কিংবা অষ্ট্রিয়ার সঙ্গে তুলনা চাই না। আমরা ভারতীয় এবং ভারতেই থাকতে চাই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours