মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর নির্বাচনী ক্ষেত্রের পুনর্বিন্যাস বাতিলের আর্জি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল, আজ সেই আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৯ সালের পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনা শুরু করে কেন্দ্র। জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভা এবং বিধানসভা ভাগ করা হয়, তাতে দেখা যায় জম্মুর ৪৩ এবং কাশ্মীরের ৪৭টি বিধানসভা কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। লোকসভার আসনও পুনর্বিন্যাস করা হয় একই সময়ে। আর এই পুনর্বিন্যাস নিয়েই শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন দুই ব্যক্তি। তাঁদের মামলা আজ খারিজ করা হল সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চে।
কী ঘটেছে?
২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করা হয়েছিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে - জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভা আসনের পুনর্বিন্যাসের কাজ চালিয়েছে কেন্দ্রে। এই কাজের জন্য প্যানেলও তৈরি করা হয়েছিল। গত বছর মে মাসে সেই কাজ সম্পন্নও হয়েছে। পুনর্বিন্যাসের পর জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০। এর মধ্যে জম্মুর আসন সংখ্যা ৪৩। অন্যদিকে ৪৭টি আসন রয়েছে কাশ্মীরে। পাশাপাশি, ভূস্বর্গের লোকসভা আসনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫। কিন্তু কেন্দ্রের এই পুনর্বিন্যাস নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে। বিরোধীদের দাবি, পদ্ম শিবিরের রাজনৈতিক ফায়দার কথা মাথায় রেখে এই এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ করেছে সরকার। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় বিজেপি।
আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের
মামলা খারিজ শীর্ষ আদালতের
এর পরই পুনর্বিন্যাসের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কাশ্মীরের দুই বাসিন্দা আবদুল গনি ও মহম্মদ আয়ুব। আসন পুনর্বিন্যাস করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ছাড়া অন্য কোনও কমিশন নিতে পারেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল এবং এএস ওকা মামলাটি খারিজ করে দেন। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২০১৯-র জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের সঙ্গে আবেদনকারীদের আর্জির কোনও যৌক্তিকতা নেই। আদালতের তরফে আরও জানানো হয়, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একগুচ্ছ মামলা হয়েছে। সেগুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস আইন, ২০১৯ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না সুপ্রিম কোর্ট। ফলে মোদি সরকারের আসন পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তই বজায় থাকল।
+ There are no comments
Add yours