মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের নতুন আইনে নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেলে দেশের প্রধান বিচারপতিকে রাখা হয়নি। কেন্দ্রের এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা হয়েছিল। তবে শুক্রবার ওই আইনে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। এ বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
শীর্ষ আদালতের অভিমত
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত’র বেঞ্চ শুক্রবার প্রাথমিক শুনানি শেষে বলে আইনটির উপর স্থগিতাদেশ জারি জরুরি বলে আদালত মনে করে না। তবে মামলাকারীদের উত্থাপিত বিষয়গুলি নিয়ে আদালত কেন্দ্রীয় সরকারে বক্তব্য জানতে আগ্রহী। সেই মতো শুক্রবারই কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে ২০ এপ্রিল।
কী এই আইন
কেন্দ্রের নতুন আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) এবং অন্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করতে যে তিন সদস্যের প্যানেল আছে, তার সদস্য হবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা মনোনীত এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই কমিটি যে নাম কিংবা নামগুলি প্রস্তাব করবে, তাঁকে বা তাঁদের নিয়োগ করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: কনকনে কলকাতা! পৌষের শেষে ঝোড়ো ব্যাটিং শীতের, কত নামবে তাপমাত্রা?
স্থগিতাদেশ নয়
জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর কেন্দ্রের আনা এই আইনের উপরে স্থগিতাদেশ জারির আর্জি জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর তরফে উপস্থিত আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, “এই আইন ক্ষমতার বিভাজনের ভাবনার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ”। তবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের তরফে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের (Election Commission) এই আইনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করতে অস্বীকার করে। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, এই আইনে স্থগিতাদেশ জাকি করা যাবে না। পিটিশনের একটি কপি কেন্দ্রের কাউন্সিলকে পাঠানো হচ্ছে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, “আমরা সংশোধিত আইনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করতে পারি না। কেন্দ্রকে নোটিস দেওয়া হচ্ছে। এপ্রিল মাসের মধ্যে এই নোটিসের জবাব দিতে হবে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours