Sukanta Criticize Mamata: ‘‘হীরক রানির রাজত্ব…’’, কার্নিভালে কর্মরত চিকিৎসককে আটক নিয়ে সরব সুকান্ত

Doctor Arrest: ‘‘আমার অপরাধ কী, বলতে পারেনি পুলিশ’’, থানা থেকে বেরিয়ে দাবি আটক চিকিৎসকের...
mamata-BJP
mamata-BJP

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে কর্মরত পুর চিকিৎসককে থানায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সরব হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Criticize Mamata)। তাঁর কথায়, কতটা ভয় পেলে একজন চিকিৎসককে আটক করে প্রশাসন এই ঘটনা তাঁর প্রমাণ। পোশাকে ‘প্রতীকী অনশনকারী’ ব্যাজ লাগানো থাকায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল থেকে ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে। এর বিরুদ্ধেই সরব হন সুকান্ত।

কী বললেন চিকিৎসক

কোনও সিজ লেটার ছাড়াই সাড়ে ৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখা হয় চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে। এ প্রসঙ্গে তপোব্রত বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর কার্নিভালে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে ডিউটি ছিল। আমি কেএমসি-র ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেডিক্যাল অফিসার। দুপুর ২টো নাগাদ ডিউটিতে যোগ দিই।’’ ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের সমর্থনে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। সেই কারণেই ‘প্রতীকী অনশনকারী’ ব্যাজ ঝুলিয়ে ছিলেন বলে জানান তপোব্রত। দুর্গাপুজোর কার্নিভালে মেডিক্যাল টিমের সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তাঁকে ডিউটি চলাকালীন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক ডেকে নিয়ে গিয়ে পুলিশের গাড়িতে তোলেন। তপোব্রত বলেন, ‘‘কোন থানায় যেতে হবে তা বলেননি কেউ। ফোন রেখে দিতে বলা হয়। থানায় ঢোকার পর ফোন দিতে বলা হয়। আমার কোনটা অপরাধ, সেটা ওঁরা বলতে পারেননি। আমি ফোন ব্যবহার করতে চাইলেও সেটা করতে দেওয়া হয়নি।’’ এই ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর খবর পৌঁছলে ময়দান থানায় হাজির হন ধর্মতলায় জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীরা। তার কিছুক্ষণের মধ্যে তপোব্রতকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সুকান্তর দাবি

এই ঘটনার প্রতিবাদে একগুচ্ছ কালো গ্যাস বেলুনের ছবি দিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Criticize Mamata) লেখেন, ‘‘ভাবুন তো রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী কতটা ভয় পেয়েছেন, কতটা ভয় পেলে সরকার এই কাজ করে। সাহস তো নেই ভয়েই না হয় পদত্যাগ করুন মুখ্যমন্ত্রী। সত্যিই হীরক রানির রাজত্ব।’’ 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles