Success Story: তিন বার ব্যর্থ হয়েও পরিশ্রম ও জেদকে সম্বল করে আইএএস অফিসার আদিবাসী তরুণী মনীষা

Manisha Dharve: অসহায়দের জন্য কাজ করতে চান আদিবাসী মহিলা আইএএস অফিসার
parliament_(3)
parliament_(3)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফল্য (Success Story) একদিনে আসে না। সাফল্য একটা প্রয়াস। বার বার চেষ্টা করলেই লক্ষ্যে পৌঁছনো যায়। মনের জেদ বজায় রাখতে হয়। পরিশ্রম করে যেতে হয়। এই কথাগুলোকে আঁকড়ে ধরেই এগিয়ে গিয়েছিলেন মনীষা ধারভে। একবার নয় দুইবার নয়, তিনবার ব্যর্থ হয়েছিলেন ইউপিএসসি পরীক্ষায়। তবু হাল ছাড়েননি। বড় অফিসার তাঁকে হতেই হবে। চতুর্থবারে সফল। আসলে কেউ লড়াই করলে ভাগ্য দেবতাও এক না একদিন তাঁর প্রতি সদয় হন। বড় বড় মণীষীরা বলেছেন, মানুষ নিজের কর্মের জোড়ে ভাগ্য বদলাতে পারে। তারই বড় প্রমাণ মনীষা (Manisha Dharve)।

মনীষার লড়াই (Success Story)

ছোট থেকেই মোধাবী ছাত্রী ছিলেন মনীষা (Manisha Dharve)। মনীষার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় বন্দরনিয়া গ্রামের একটি অঙ্গনওয়াড়িতে। তার বাবা, গঙ্গারাম ধরভে বড় চাকরি ছেড়ে গ্রামের শিশুদের শিক্ষিত করার কাজে ব্রতী হন। মা জামনা ধারভেও সরকারি স্কুলে পড়াতেন। মনীষা ছোট থেকেই পড়াশোনাকে তাঁর বন্ধু করেছিল। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৭৮ শতাংশ নম্বর পান গ্রামের আদিবাসী কিশোরী মনীষা। এরপর ইন্দোরের হোলকার কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন মনীষা। স্নাতক শেষ করে দিল্লিতে গিয়ে ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন মনীষা। প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে গ্রামে ফিরে যান মনীষা। এবার শুরু হয় আসল লড়াই। দিনের পর দিন একমনে নিজেই পড়ে যেতে থাকেন মনীষা। দ্বিতীয়বারও ব্যর্থ (Success Story)। শুরু হয় সমালোচনা। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে আত্মীয় স্বজন অনেকেই বাবতে থাকেন এই মেয়ের দ্বারা কিস্যু হবে না। কোনও কিছুতে কান না দিয়েই নিজের কাজ করতে থাকে মেয়েটি। তৃতীয়বারও সাফল্য মেলেনি। ধীরে ধীরে বাবা-মাও হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু আশা ছাড়েননি মনীষা। আরও আরও ভাল করা চেষ্টা। চতুর্থবার ২০২৩ ইউপিএসসি পরীক্ষায় ২৫৭ তম স্থান পান মনীষা। অবশেষে স্বপ্নপূরণ।

আরও পড়ুন: বালিকা বধূ রূপা এখন ডাক্তার! মাত্র ৮ বছরে বিয়ে, দুই সন্তানের মা অবশেষে স্বপ্নপূরণ

কী করবেন মনীষা (Success Story)

 খারগোনের ঝিরনিয়া ব্লকের বোন্ডারনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মনীষা (Manisha Dharve)। ছোট থেকে গ্রামেই বড় হয়েছেন। দেখেছেন আদিবাসী মহিলাদের কষ্ট। গ্রামের গরীব মানুষরা কতটা অসহায়। তাই অফিসার হয়ে সেই অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করাই লক্ষ্য আদিবাসী কন্যার। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles