মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের পার্টি ক্যাডারের থেকেও অধম। বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই মন্তব্য করেন। এদিন তিনি জেলা পরিষদের ১১ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।এই ক্যান্সার আক্রান্ত শুভঙ্করবাবুকে দুদিন আগে থানার ওসি মারধর করেন। আক্রান্ত পরিবারের পাশে থাকার তিনি বার্তা দেন।
দলীয় প্রার্থীকে হামলা প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু(Suvendu Adhikari)?
আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পর শুভেন্দু বলেন, বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়। দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। দলীয় প্রার্থী দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগী। এই ওসি যেভাবে একজন জেলা পরিষদের প্রার্থীকে আক্রমণ করেছে, তাতে প্রমাণিত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। তারা পার্টির ক্যাডারের থেকেও অধম। শুভঙ্কর মাহাতোকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে এখানে চাপ দেওয়া হয়েছিল। সাঁকরাইল ব্লকের ২০১৮ সালে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতি এবং অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল। এখানে বিজেপির জনসমর্থন অনেক বেশি। কিন্তু, এই একজন দলদাস ওসিকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো যে গুন্ডামি করাচ্ছে, সেটা এখানে আমরা দেখেছি। এই তোলামূলের ওসি, মমতা পুলিশ দুটো মিথ্যে মামলা করেছে। আমি জেলা সভাপতিকে দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছি মামলার কপিগুলো তুলবে এবং বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী হাইকোর্টে রিট পিটিশন করবে। মমতা পুলিশের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। শুভঙ্কর মাহাতো একজন কুড়মি সমাজের মানুষ। তার উপর পুলিশের এই হামলা চালানোর ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্ত ওসিকে শুধু সাসপেন্ড নয় যাতে গ্রেফতার করা হয় তারজন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে।
জঙ্গলমহলে পুলিশি অত্যাচার নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?
তপসিয়ায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, পুলিশ দিয়ে অত্যাচার করছে। মিথ্যা মামলা করছে। এভাবে জঙ্গলমহলকে দমিয়ে রাখা যায় না। জঙ্গলমহল প্রতিবাদী মানুষের জায়গা। জঙ্গলমহলে যত অত্যাচার হবে তত প্রতিরোধ হবে। নয়াগ্রামে বিজেপির সভায় শুভেন্দু অধিকারি বলেন,‘সিপিএমের তিনতলা পাকা বাড়ি। তার সঙ্গে কম্পিটেশন করে চোর তৃণমূলও তিনতলা পার্টি অফিস বানিয়েছে। ছাদ থেকে পতাকা নাড়াচ্ছেন। নয়াগ্রামের আইসি দাঁড়িয়েছেন। পুলিশের আসকারায় এসব হচ্ছে। জঙ্গলমহলে পুলিশিরাজ চলবে না।’
মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু ?
মাওবাদী তকমা দিয়ে সাধারণ মানুষের উপর পুলিশি অত্যাচারের বামফ্রন্টের আমলের সেই দিন ফিরিয়ে আনতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, তাঁর সঙ্গে মানুষ নেই। কর্মসংস্থান দিতে পারেননি। মানুষের পেটে ভাত, হাতে কাজ দিতে পারেননি। ৫০০ টাকা দিয়ে কারো সংসার চলে না। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এর থেকে অনেক বেশি মহিলারা টাকা পান। সেই জায়গায় ভোটের জেতার জন্য অত্যাচার একমাত্র রাস্তা। একটা পানীয় জলের কাছে আড়াইশো মহিলা বালতি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। জল দিতে পারেনি, গ্রাম দখল করা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। জঙ্গলমহলের ছেলেরা ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ডে গিয়ে কাজ করে। মুখ্যমন্ত্রী কাজ দিতে পারেনি। জঙ্গলমহলের কোনও বাড়িতে পুরুষ মানুষ থাকে না। পুরো পঞ্চায়েত চুরি করেছে। শৌচালয়ের টাকা মেরেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার এত হকদার একটাও প্রকৃত লোক পায়নি।
পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসলে বিজেপির পদক্ষেপ নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?
বিরোধী দলনেতা বলেন, জঙ্গলমহলে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের জয়ী করুন। মানুষের পঞ্চায়েত হবে। গ্রাম সংসদের সভায় বসে উপভোক্তা কারা হবেন তা ঠিক করা হবে। সে যদি তৃণমূল, সিপিএমের লোক পাওয়ার যোগ্য হয়, তবে তিনিও পাবেন। পঞ্চায়েতে কোনও রাজনীতি হবে না। আমরা সেটা নিশ্চিত করব। গতবারে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। এসপিকে দিয়ে ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছে। ভাঙা গড়ার খেলা করে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours