মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হকের ডিএ চাইতে গিয়ে পার হয়ে গেল ৩০০ দিন, শিল্পের নামে করের টাকায় মোচ্ছব করে বিবেকহীন।” এই স্লোগান বিরোধীদের নয়, ডিএ-র দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে বসা রাজ্য সরকারি কর্মীদের। নিউ টাউনে চলছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS 2023)। বুধবার শুরু হওয়া এই সম্মেলন শেষ হবে বৃহস্পতিবার। এমতাবস্থায় এই সম্মেলনকেই বিঁধলেন ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীরা।
জনগণের করের টাকায় ‘মোচ্ছব’
বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনকে কটাক্ষ করেছিলেন বিরোধীরাও। তাঁরাও জানিয়েছিলেন, এটা আসলে জনগণের করের টাকায় ‘মোচ্ছব’। এবার প্রায় একই ভাষায় সম্মেলনকে তুলোধনা করলেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার ৩০০ দিনে পড়ল তাঁদের আন্দোলন। সেদিনই ধর্নাস্থলে দেখা গেল হরেক কিসিমের পোস্টার। তারই একটিতে লেখা, “হকের ডিএ চাইতে গিয়ে পার হয়ে গেল ৩০০ দিন, শিল্পের নামে করের টাকায় মোচ্ছব করে বিবেকহীন।” অন্য একটিতে লেখা, “৬ লক্ষ শূন্যপদ আর বকেয়া ডিএ তোমার দান, কোন মুখেতে বলছ, তুমি করবে কর্মসংস্থান।”
'কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন মুখ্যমন্ত্রী'
সংগ্রামী যৌথমঞ্চের (এই ব্যানারেই আন্দোলন করছেন আন্দোলনকারীরা) তরফে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS 2023) চলছে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, রাজ্যে প্রচুর বিনিয়োগ সুনিশ্চিত হয়েছে। আমরা মুখের কথা শুনতে রাজি নই। এবার শিল্প এনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন মুখ্যমন্ত্রী।’ আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ডিএ দেওয়ার মতো টাকার সংস্থান রয়েছে রাজ্যের। অথচ সেটা দেওয়া হচ্ছে না। তাতে সঙ্কটে পড়েছেন পেনশনভোগীরা। তাঁদের অনেকের এখন মাসে ওষুধ কেনারও পয়সা নেই। তাঁরা জানান, বকেয়া না মেটানো পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনকে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর প্রশ্ন, “এতদিনে কত লগ্নি হয়েছে, কত কর্মসংস্থান হয়েছে, সেই সব তথ্য কি সামনে আনবে রাজ্য সরকার?”
আরও পড়ুুন: ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিপূরণ দেয়নি রাজ্য, আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হাইকোর্টে
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্যের কুর্সি দখল করে তৃণমূল। এর ঠিক চার বছর পরে শুরু হয় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে লগ্নি হবে, শিল্প হবে, কর্মসংস্থান হবে বলেও ধুয়ো তুলেছিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। তার পর ৬টি সম্মেলন হয়েছে। বুধবার শুরু হয়েছে সপ্তম বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS 2023)। বিরোধীদের অভিযোগ, তারপরেও যে রাজ্যের ভোল বিশেষ বদল হয়নি, তা বলছে বেকারত্বের পরিসংখ্যানই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours